প্রতিটি গোধূলিই একটি দিনের মৃত্যুর ঘোষণা। ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু বলতে বোঝানো হয় যারা ইসলাম প্রচারে বাধা দেয় ও মুসলমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ করে, মুসলমানদের বিনা কারনে হত্যা করে, রাজীব নাস্তিক ছিল, সে তার মতবাদ প্রতিষ্টা করতে চেয়েছে মাত্র, কিন্তু সে কোন মুসলিম কে হত্যা করেনি বা ইসলাম প্রচারেও বাধা দেয়নি, সে তার নাস্তিক মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে তার মতের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছে, সে নাস্তিক হিসেবে তার শাস্তি তাকে আল্লাহ দিবেন, আপনি আমি তাকে ঘৃণা করতে পারি কিন্তু শাস্তি দিতে পারিনা, কারন সে ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু নয়। দেখুন মহানবী (সঃ) যুদ্ধ করেছেন, অনেক বিধর্মী মেরেছেন, কিন্তু কাদের ? যারা ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু ছিল তাদের, এমন কোন প্রমান নেই যে তিনি কোন বিধর্মী কে এমন কারনে মেরেছেন যে তিনি তার নিজস্ব মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায় , আপনারা কি এমন কোন প্রমান দিতে পারবেন যে নবী (সঃ) কোন পাদরী কে হত্যা করেছেন যারা ঐ সময় খৃষ্টান ধর্ম প্রচার করতো ? পারবেন না, কারন তিনি (সঃ) এমন গর্হিত কাজ করেননি। নাস্তিকের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করা অবশ্যই পাপ, কিন্তু তাই বলে আমরা কি করে তাকে হত্য করি ? যদি তাই হয় তবে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রতিটি গীর্জার পাদরী ও মন্দিরের পুরোহিত ও রাজীবের মত অপরাধী নয় কি ? হত্যা শুধু তাদের ই করা যাবে যারা ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু, অন্যদের নয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা আর ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু হওয়া এক নয়। যারা তোমাদের ধর্মের কারনে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেনি ও তোমাদের বাড়ি ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়নি তাদের প্রতি ন্যায় পরায়ন হও, নিশ্চই আল্লাহ তায়ালা ন্যায়পরায়ন কারীকে ভালবাসেন। ------------------------------------------------------------------------- আল কোরআন সুরাঃ আল মুমতাহহানহ আয়াতঃ ০৮
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।