ইন্টার েনট জগ েত স্বাগতম, প্র িত িট িনউজ েদশ ো জািতর কল্যাের জন্য প্রকাশ করা হ েব।
যশোর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক হক প্রতিবাদের প্রকাশক ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মৎস্য খামারী মোস্তফা কামাল হত্যা মামলায় ১৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল বাছেদ এ রায় দেন। রায় শেষে ১৪ জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
দণ্ডিতরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মনি মহুরির ছেলে ছোট খোকন, ওসমান মোড়লের ছেলে ইউনুস, আব্দুল কাদেরের ছেলে জাহাঙ্গীর, মৃত শুকুর মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম, জাহাঙ্গীরের ছেলে মুরাদ, হাশেমের ছেলে বিপুল, মৃত ওসমান মোড়লের ছেলে হাশেম, মৃত ফটিক গাজীর ছেলে রেজাউল, মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে হাফিজুর, হাশেমের ছেলে তরিকুল, নুরুল ইসলামের ছেলে ইমরোজ, মিজানুর রহমানের ছেলে রিয়াজ, ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে কাসাই রওশন ও বিরামপুরের মৃত সাহেব আলী মহুরির ছেলে মিরাজ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার নারানপুর বর্মনপাড়ায় মোস্তফা কামাল উদ্দিনের হক ইন্টিগেটেড ফামিং কমপ্লেক্স নামে একটি মৎস্য খামার রয়েছে। এ খামার নিয়ে নারানপুর গ্রামের হাশেম, রেজাউল, ছোট খোকন ও হাফিজুরের সাথে পূর্ব থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারা প্রায় মোস্তফা কামাল উদ্দিনকে হুমকি ধামকি দিত।
এক পর্যায়ে তারা খামার ছেড়ে দেবার জন্য মোস্তফা কামাল উদ্দিনকে হত্যার হুমকি দেয়। তিনি বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে বিভিন্ন সময় অবহিত করেন।
হুমকির মাত্র বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার জন্য তিনি কোতয়ালি থানায় ২০০৭ সালেল ৫ মে ৮ জনের বিরুদ্ধে জিডি করেন।
মোস্তফা কামাল উদ্দিন ২০০৭ সালের ১ জুন ফজরের নামাজ পড়ে মোটরসাইকেলযোগে তার মৎস্য খামারে উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। খামারের রাস্তায় আসামি রেজাউলের পুকুর পাড়ে পৌছেলে হাশেম, রেজাউল, ছোট খোকন ও হাফিজুর, ইমরোজ, ইউনুস, তরিকুল, জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন তারর উপর হামলা চালায়। এসশয় অভিযুক্ত ইমরোজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে তারা মোস্তফা কামাল উদ্দিনকে বেধড়ক মারপিট করে শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ ভেঙ্গে দেয়।
এক পর্যায়ে হামলাকারীরা থারালো অস্ত্র দিয়ে তার পেটে কুপিয়ে তারর মৃত্যু নিশ্চিত করে। খামারে কর্মরত কর্মচারী আক্তার গাজী ও তোফাজ্জেল হত্যাকান্ডটি দেখে ফেলে। এ সময় হামলাকারীরা তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে আসে এবং মোস্তফা কামাল উদ্দিনের বাড়িতে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় নিহতের ভাই অ্যাডভোকেট মোস্তফা আওয়াল উদ্দিন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০০৮ সালেল ১ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা এস আই অপূর্ব হাসান এজাহার ভুক্ত ৮ আসামিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিঠ দাখিল করেন। এজাহার ভুক্ত অন্য আসামিরা হলো, রবিউল ইসলাম, মুরাদ, বিপুল, মিরাজ, রিয়াজ, কসাই রওশন, নারানপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আজমিনুর রহমান ও মৃত ওমর আলীর ছেলে কুবাদ।
দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার জন্য এ মামলাটি যশোর থেকে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালতে স্থানন্তর করা হয়। এখানে মামলার আসামিরা দ্রুত জামিন লাভ করায় মামলার বাদী মামলাটি অন্য আদালতে স্থানন্তরের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানান। আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি রাজশাহীরর দ্রুত বিচারর ট্রাইবুনাল আদালতে বিচারের জন্য পাঠায় হাইকোর্ট।
স্বাক্ষ্য প্রমানে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনকে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হজার টাকা করে জমিানা অনাদায়ে আরো ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
এছাড়া এ মামলার অন্য দু’ আসমি কুবাদ ও আজমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন বিচারক।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মোস্তফা আওয়াল উদ্দিন ও তার মা মাসুদা হক জানান, তারা রায়ে সন্তুষ্ট নন। মোস্তফা কামলা উদ্দিনকে খুচিয়ে খুচিয়ে নৃশ্বংস ভাবে হত্যা করেছে অভিযুক্তরা। তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, মোস্তফা কামলা উদ্দিন ২০০০ সালে শ্রেষ্ট মৎস্য খামারী হিসেবে রাষ্ট্রীয় পুরুস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি নিহত হওয়ার পর অনয়িমিত প্রকাশনার কারণে তার প্রকাশনার সাপ্তাহিক হক প্রতিবাদ পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে প্রশাসন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।