আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাধীনতার ইতিহাস [ ১৬ই ডিসেম্বর , যশোরের

পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি

১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস। পাক-ভারতের মাঝে সবে মাত্র যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় তাসখন্দে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মধ্যে শান্তি প্রস্তাবের আলোচনা চলছে। এমনি এক উত্তেজনাকর সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন ছাত্র আর যশোরের এম এম কলেজের কয়েক জন ছাত্র তাদের পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী স্বাধীন পূর্ব বাংলার মুক্তি সনদ চূড়ান্ত করার জন্য মিলিত হলো এক গোপন সম্মেলনে। সম্মেলন স্থল নির্ধারিত হয়েছিল পল্লী বাংলার এক অজানা অচেনা গ্রাম।

যশোর জেলার মনিরাম্পুর থানার কপোতাক্ষ নদীর তীরঘেষা ঝাঁপা গ্রাম। গ্রামের পশ্চিমে কপোতাক্ষের তীর ছুঁয়ে হাট। হাটের বিপরীত দিকটাতে বিস্তীর্ণ ধান আর পাটের ক্ষেত। বিস্তীর্ণ এই পাটের একটা ক্ষেতে চললো দুদিন ব্যাপী গোপন সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত হতে পেরেছিলাম আমি(লেখক), দাউদ, আব্দুল খালেক (মনি), সাখাওয়াত হোসেন, ফজলুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।

এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য যশোর কলেজের নির্দিষ্ট কয়েক জনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। যার একটা চিঠি ধরা পড়ে গেল যশোর ডি বি পুলিশের সেন্সরশীপ প্রসেসে। এই সূত্র ধরে মদিউদ্দিন , ফসিয়ার রহমান আর কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তারের সংবাদ পেয়ে দ্রুত "মুক্তি সনদ" অনুমোদন ও গ্রহন করে সম্মেলন শেষ করে দেওয়া হয় এবং বাকীরা যে যার মত গা ঢাকা দিতে বাধ্য হই। [চলবে]



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.