নুরুজ্জামান মানিক। একটা সময় পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। তারপর বিশাল গ্যাপ। একদিন আমাকে জানালেন, ব্লগে লিখি।
আমি কী বুঝতে কী বুঝলাম।
মাথা নাড়লাম, জ্বি মানিক ভাই। ভালো।
কারণ, আমার কাছে তখনো ব্লগ বিষয়টা অচেনা।
আমাদের লেখালেখি পত্রপত্রিকার সেই সময়ে মানিক ভাই এবং আমরা সবাই মোটামুটি বিশাল সংঘবদ্ধ ছিলাম। আজকে পত্রপত্রিকায় রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে এমন অনেকে মিলে আমরা উল্টো স্রোত নামে একটা সংগঠনও দাঁড়িয়েছিল।
মানিক ভাই ছিলেন সভাপতি।
একটা প্যাডও ছাপা হয়ে গিয়েছিল সংগঠনের।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ছাদে বহুদিন আমরা প্রেস বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু ঘটনা যা হয় সবাই তখন তরুণ এবং পত্রপত্রিকার সাথে যুক্ত। সবাই ব্যাস্ত।
যে কারনে আর সেটা বেশি গতি পায়নি। তবে আমরা এখনো মনিক ভাইকে আগের মতোই সমানভাবে সভাপতির মর্যাদায় দেখি।
তারপর অনেকদিন মানিক ভাইয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ নাই। আমি ব্লগে এসে দেখলাম, মানিক ভাইয়েরা সেখানে সমানে লিখছে। আমিও মানিক ভাইয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে লেখা শুরু করি, কিন্তু ততদিনে মানিক বাই একাধিক ব্লগে সমান তারে লেখেন।
তাই আর তার সাথে পাল্লা না দিয়ে পাল্লিয়ে যাই।
তবে নেটের কল্যানে এখন যখন অনলাইন হলেই মানিক ভাইকে পাই। পাই আমাদের উল্টোস্রোতের অলমোষ্ট সব মেম্বারকে, তখন মনে হয় আমরা স্বশরীরে না হইলেও অশরিরে সেই বিশ্বসাহিত্য কেনন্দ্রে বইসা আছি।
মানিক ভাই, মুড়ির অর্ডার দিচ্ছেন।
আমরা ভার্চুয়ালি সেসব খাচ্ছি।
আজ মানিক ভাইয়ের জন্মদিন চলছে। বছর পুরো সময় ধরে কথা না হলেও এই একটা দিন মানিক ভাইকে ফোন করতে ভুলিনি। ভুলিনি তাকে শুভেচ্ছা জানাতে।
আর সুযোগ পেয়ে ভুলিনি, এই ভার্চুয়াল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে তা প্রচার করে দিতে।
মানিক ভাই, জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো।
আর একটা কথা এই পোষ্টে ঢুকলে কেক নিয়ে ঢুকতে ভুলবেন না।
ব্লগে মানিক ভাইয়ের ঠিকানা ::: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।