টাইব্রেকারে টানা নয় গোল হওয়ার পর চেলসির বদলি খেলোয়াড় রমেলু লুকাকুরর শট ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ৫-৪ ব্যবধানে জয় এনে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়া। এ জয়ের মাধ্যমে ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চেলসির কাছে হারের শোধ নিল বায়ার্ন।
ইউরোপের সেরা দুটি ক্লাব টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও উয়েফা ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে এই সুপার কাপের লড়াই হয়। গত বছর স্বদেশের বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শিরোপা জেতে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন। আর ইউরোপা লিগ জেতে ইংলিশ পরাশক্তি চেলসি।
খেলার ৮ মিনিটে চেলসিকে এগিয়ে নেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তরেস। লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে ইউরোপ সেরার পুরস্কার জেতা ফ্র্যাঙ্ক রিবেরির ৪৭ মিনিটের গোল খেলায় ১-১ সমতা আনে।
৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন চেলসির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার রামিরেস।
নির্ধারিত সময় খেলা অমিমাংশিত থাকায় তা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, যার ৩ মিনিটে বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার এডেন হেজার্ডের গোলে আবার এগিয়ে যায় হোসে জোসে মরিনিয়োর শিষ্যরা।
গোল শোধে মরিয়া পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা একের পর আক্রমণ রচনা করলেও চেলসি গোলরক্ষক পেতর চেকের দৃঢ়তায় সাফল্য আসছিল না।
এ সময় প্রতি আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ানোরও সুযোগ এসেছিল দশ জন নিয়ে খেলা চেলসির সামনে।
বদলি খেলোয়াড় হাভি মার্তিনেস নাটকীয়ভাবে খেলায় সমতা আনেন। অতিরিক্ত সময়ের শেষ শটে তার লক্ষ্যভেদে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর তাতে জিতে প্রথমবারের মতো উয়েফা সুপার কাপের ট্রফি ঘরে তুললো বার্য়ান মিউনিখ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।