সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী
সূচনা করব কিভাবে বুঝতে পারছিনা, দেশে থাকতাম সময় মনে হত বিদেশেই সকল সুখ (এখনো অনেকে মনে করেন আপনারা), কিন্তু এখন আমি কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন, কনকনে ঠান্ডা বাতাসের মাঝে সাইকেল চালিয়ে ইউনিভার্সিটিতে যেতে হয়, কষ্ট করে ক্লাস করে এসে আবার রান্না করতে হয় তারপর খেতে হয়। দেশে থাকতে তো আম্মা কে শুধু এটা রান্না কর ওটা রান্না কর বলতাম এখন বুঝি রান্না করা কতটা কষ্টের। একমাস হল মাছ খেতে পারিনি (কোন মাছ পরিচিত নয়) আলুভর্তা, ডিম, নুডুলস, ভাত এবং ফুলকপির উপর আছি। বাড়িঘর ছেড়ে লোকজন যে কি ভাবে বছরের পর বছর বিদেশ পরে থাকে তা আমি জানিনা আমি ৪৫ দিনেই হাপিয়ে ঊঠেছি। যখনই খারাপ লাগে তখনই কম্পিউটার গেমস খেলা শুরু করি, গেমস টা হচ্ছে মোস্তফা ইচ্ছে করলে খেলতে পারেন কতদিন থাকতে হবে তা ও অনিশ্চিত কিন্তু মন মানতে চায়না মনে পরে বাংলাদেশী চটপটির কথা, এই দেশে কাচামরিচ খুঁজে পাইনি এখনো। মনে পরে আমার চিরচেনা সোনারগাঁ এর কথা, মেঘনা নদীর কথা। লোকজন এইদেশে কথা বলে কম, আফ্রিকানরা ভাবে আমি আফ্রিকান (গায়ের রঙ কালো) আমাকে hi hello বলে। আমি থাকি JAVASKYLA, FINLAND
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।