হাতের পাঁচটা আঙুল থাকতে ওয়েডিং রিং (বিয়ের আঙটি) কেন শুধু অনামিকা-তেই পরানো হয়.. জানেন কি? এ বিষয়ে চমৎকার একটি মতবাদ আছে!
চাইনীজ-দের অনেকেই বিশ্বাস করে.... হাতের পাঁচটি আঙুল পাঁচটি সম্পর্ক-কে প্রতিনিধিত্ব করে-
বৃদ্ধাঙ্গুলী (প্রথম আঙুল)- পিতা-মাতা
তর্জনী (দ্বিতীয় আঙুল)- ভাই-বোন
মধ্যমা (তৃতীয় আঙুল)- নিজেকে
অনামিকা (চতুর্থ আঙুল)- জীবন সঙ্গী (স্বামী/স্ত্রী)
কনিষ্ঠা (পঞ্চম আঙুল)- সন্তান
এবার আসুন ছোট্ট একটি পরীক্ষা করি-
ধাপ-১: প্রথমে নিচের চিত্রের মত করে দুই হাতের তালু পরস্পরের মুখোমুখি রেখে দুই হাতের দশটি আঙুল এক করুন। মধ্যমা দুইটি ভাঁজ করে পিঠাপিঠি লাগান.... অর অন্য চারটি আঙুলের ফিংগার টিপ পরস্পর পরস্পরকে স্পর্শ করে থাকবে।
ধাপ-২: বৃদ্ধাঙ্গুলী দুইটি পরস্পর হতে পৃথক করুন। দেখবেন পৃথক হয়ে যাবে। বাবা-মা সারাজীবন আপনার সাথে থাকবেন না, আগে পরে উনারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবেন।
(বৃদ্ধাঙ্গুলী দুইটি আবার পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসুন)।
ধাপ-৩: এবার তর্জনী দুইটি পরস্পর হতে পৃথক করুন। পৃথক হয়ে যাবে। ভাই-বোন-দেরও নিজেদের সংসার হবে, জীবনের বাস্তবাতায় তারাও একদিন আপনার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। (তর্জনী দুইটি আবার পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসুন)।
ধাপ-৪: এবার কনিষ্ঠ আঙুল দুইটি পৃথক করুন, এই আঙুল দুইটিও পৃথক হয়ে যাবে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর আপনার সন্তানরাও বড় হবে, স্বাবলম্বী হবে... তাদেরও ঘর সংসার হবে। হয়তো তারাও আপনার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। (কনিষ্ঠা দুইটি আবার পূর্বের অবস্থায় আনুন)।
ধাপ-৫: এবার অনামিকা দুইটি পরস্পর থেকে পৃথক করার চেষ্টা করুন।
আপনি বিস্মিত হবেন... অনামিকা দুইটি পৃথক হচ্ছেনা! আপনি আবারও চেষ্টা করে দেখতে পারেন.... অনামিকা পৃথক করা সম্ভব হবেনা। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার সারা জীবনের সাথী.... একে অন্যের সাথে সুখে দুঃখে পাশাপাশি কাছাকাছি থাকবেন ঠিক অনামিকার মত.... সারাটি জীবন, যতদিন বেঁচে থাকবেন! ঈশ্বরও তেমনটিই চান।
এবার নিশ্চই আপনি কনভিন্সড...... বিয়ের আঙটি পরালে অবশ্যই অনামিকা-তেই পরাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।