আমি আমিই
Haiga Sofia- প্রথমে চার্চ, তারপর মসজিদ এবং এখন জাদুঘর!
হাজিয়া সোফিয়া তে ঢুকেই মনে হলো- ওয়াও!
এতো পুরোনো একটা স্থাপনা! পরতে পরতে প্রাচীন যুগের গন্ধ লেগে আছে যেন। মনে হলো এক নিমিষে চলে এলাম কয়েক শতাব্দীর আগের এক সময়ে।
দেড় হাজার বছর আগে তৈরি হওয়া হাজিয়া সোফিয়া হচ্ছে তার্কির অন্যতম সেরা পর্যটন স্পট।
৫৩২ সালে বানানো এই হাজিয়া সোফিয়া প্রথমে ছিলো একটা চার্চ। ৯০০ বছর ধরে এটা ছিলো পৃথিবীর সবচে বড় চার্চ।
১৪৫৩ সালে অটোমেন রাজারা এই চার্চ দখল করে নেয় এবং এটাকে মসজিদে পরিণত করেন। ৫০০ বছর মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের পর ১৯৫৩ সালে কামাল আতার্তুক হাজিয়া সোফিয়া-কে জাদুঘরে পরিণত করেন।
হাজিয়া সোফিয়া-র সবচে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এর ডোম। ১০২ ফুট ব্যাসার্ধ এবং ১৮২ ফুট উচ্চতার এই ডোম তৈরি করা হয়েছে মর্টার আর ইট দিয়ে।
ডোম ছাড়াও হাজিয়া সোফিয়া-তে দেখার আছে বায়জেন্টাইন সময়ের মোজাইকস।
অসম্ভব সুন্দর কারুকার্জের এই মোজাইকস গুলোতে আঁকা আছে ভার্জিন মেরি, যীশু এবং অন্যান্য রাজা-রানীদের ছবি। ১৪৫৩ সালে যখন এই হাজিয়া সোফিয়া-কে মসজিদে রুপান্তরিত করা হয় তখন সেইসব মোজাইকস গুলো ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলা হয় এবং সেই জায়গায় নতুন করে ইসলামিক আর্ট জায়গা করে নেয়। ১৯৩০ সালে একদল গবেষক ঢেকে ফেলা বেশকিছু মোজাইকস উদ্ধার করেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই মুহূর্তে হাজিয়া সোফিয়া-তে গেলে আপনি একই সাথে ভার্জিন মেরি, যীশু-র মোজাইকস পাশাপাশি আল্লাহ, আল্লাহ আকবার লেখা ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি দেখতে পারবেন।
দেড় হাজার বছর পুরোনো এই মিউজিয়ামে দেখতে পাবেন বিশাল মার্বেল পাথরের দরজা, দোতালায় যাওয়ার সুড়ং্গ পথ, মসজিদের মেহরাব এবং অটোমেন যুগের অনেক চিত্রকর্ম।
হাজিয়া সোফিয়া-তে ছিলাম একঘন্টারও কম সময়। আমাদের সাথের কাপলরা বের হওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিলো। ইতিহাস পছন্দ না করলে আপনার এই জায়গা ভালো লাগবে না।
ট্রাভেল টিপস:
- হাজিয়া সোফিয়া-তে ঢুকতে খরচ হবে ২০ লিরা
- মিউজিয়ামের ভিতরে ছবি তুলতে পারবেন, সুতরাং ভালো ক্যামেরা সাথে রাখবেন।
- মিউজিয়ামের যাওয়ার আগে ইতিহাস একটু পড়ে নিলে ভালো হয়।
তাহলে ঘুরে দেখতে বেশ ভালো লাগবে।
পরের পর্ব: নীল মসজিদের অদ্ভুত শিল্পকর্ম !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।