আমি আমিই
নীল মসজিদ বা Blue Mosque হাজিয়া সোফিয়া থেকে মাত্র ৩/৪ মিনিটের হাটা পথ। নাম যদিও Blue Mosque কিন্তু আমার চোখে নীল কিছু ধরা পড়ছে না। পাশের ভদ্রলোককে জিজ্গেস করলাম। বললো, গম্বুজ গুলোর রং মনে হচ্ছে নীল ছিলো। এখন বিবর্ণ।
মসজিদ দেখার লোকের ভিড় কম নয়। সাদা নর-নারীরা ও ঢুকছেন। স্কার্ট পরা অমুসলিম মেয়েদেরকে দুটো করে কাপড় দেয়া হচ্ছে- পা এবং মাথা ঢাকার জন্য। জুতো হাতে নিয়ে ঢুকতে হবে, তবে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে।
মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে যা দেখলাম- এক কথায় অপূর্ব।
৪০০ বছরের পুরনো এই মসজিদের দেয়াল, ডোম, মিহরাব, কার্পেট- অতুলনীয়, অতুলনীয়!
মসজিদের কিছু অংশ দর্শনার্থীদের জন্য। বাকি অংশে মানুষ নামাজ পড়ছে।
[
সুলতান আহমেদ ব্লু মস্ক তার্কির জাতিয় মসজিদ। ২০,০০০ হাতে তৈরি টাইলস দিয়ে সাজানো এই মসজিদ। এই টাইলসগুলো বানানো হয়েছে প্রায় ৫০ ধরনের টিউলিপ কারুকার্জে।
২০০ এর ও বেশি গ্লাস উইনডো দিয়ে সব সময় বাইরের আলো আসছে। প্রধান ডোমে আছে ২৮ টি ছোট গ্লাস উইনডো। মসজিদের মেহরাব তৈরি হয়েছে মার্বেল পাথর দিয়ে। একসাথে ১০,০০০ মানুষ এই মসজিদে নামাজ পরতে পারবে। মসজিদে মিনারের সংখ্যা ৬ টি।
কিছুক্ষণ মসজিদে ঘুরে বের হয়ে এলাম সুলতানআহমেট সড়কে। প্রচুর ট্যুরিস্ট। দুপুর হয়ে গেছে। খেতে হবে। চারদিকে বেশ কিছু কাবাবের রেস্টুরেন্ট।
আমরা 'ইস্কানডার' নামের এক কাবাব আইটেম অর্ডার করলাম। ১০ মিনিট পর খাবার এলো। ছোট করে কাটা শর্মা কাবাবের সাথে টমেটো আর প্লেইন ইউগার্ট সাথে শুকনো রুটি।
আমাদের সেই সে কাবাব আর রুটি খাওয়া শুরু হলো...হায়! আটদিন ভাত আর ঝাল তরকারি না খেয়ে জীবন প্রায় শুকনো হয়ে যাচ্ছিলো।
বিকেল হয়ে আসছে।
ঠান্ডা পরা শুরু হচ্ছে ভালোই। হোটেলে যেয়ে সোয়েটার নিতে হবে। আমরা ট্যাক্সি তে উঠলাম।
ঠিক হলো সন্ধ্যায় হাটতে বেরুবো 'ইসটিকলাল' রোডে।
(চলবে...)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।