আমি আমিই
প্লেন ল্যান্ড করলো ঠিক সময়ে- সকাল ৬ টায়। ইমিগ্রেশনে বিরাট ভিড়। হাজারো মানুষ এসেছে ছুটি কাটাতে বোঝা যায়। ইমিগ্রেশনের ঝামেলা পেরিয়ে বেরতে লাগলো ৪০ মিনিট। আমরা যাবো তাকসিম স্কোয়ার।
হোটেল ঠিক করা হয়েছে সেখানে।
এয়ারপোর্টে বাস আছে সরাসরি যায় তাকসিম। ১০ লিরা, খরচ। আমাদের সাথে আর একটা কাপল। সুতরাং আমরা একই খরচে নিয়ে নিলাম ট্যাক্সি।
শহরের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি। আমার খুব্ই ভালো লাগছে। ৩৮ ডিগ্রি থেকে এসে ২২ ডিগ্রিতে! অসাধারণ! চমৎকার গোছানো শহর। প্রচুর গাছ। মালয়েশিয়ার কথা মনে পড়ছে।
মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম জুলাই মাসে। অবাক হয়েছিলাম এতো সাজানো শহর দেখে। ইস্তাম্বুলের প্লাস পয়েন্ট- ওয়েদার। এখানে ঠান্ডা পড়ে ভালোই।
তাকসিম স্কোয়ারে নেমে দু্ই মিনিট হাটতেই আমাদের হোটেল পাওয়া গেল।
হোটেল দেখে ভালো লাগলো না। দামের তুলনায় খুবই ছোট রুম। অন্যান্য সুবিধা সবই আছে যদিও। এখানকার হোটেলগুলো চার্জ করে ইউরো তে। যদিও তার্কি-র লোকাল কারেন্সি হচ্ছে লিরা।
হোটেল টিভি-তে ৬৭০ চ্যানেল! একঘন্টা সময় বিশ্রাম নেয়ার। তারপরই শুরু হবে ইস্তাম্বুল দর্শন!
ইস্তাম্বুলে দেখার স্পটের অভাব নেই। একটা মর্ডান সিটির আনাচে-কানাচে প্রাগৈতিক আমলের শিল্পচার্যা আর স্থাপত্যের নিদর্শন। ইস্তাম্বুল শহরের পূর্ব নাম ছিলো- বায়জেনটিয়াম। খিস্ট্রের জন্মের ৬৬০ বছর আগে এই শহর প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ইস্তাম্বুল ছিলো অনেক বড় বড় সাম্রাজ্যের রাজধানী। ৩৩০ থেকে ৩৯৫ পর্যন্ত ছিলো রোমান সাম্রাজ্যের, ৩৯৫ থেকে ১২০৪ এবং ১২৬১ থেকে ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত ছিলো বায়জেন্টাইন, ১২০৪ থেকে ১২৬১ সাল পর্যন্ত ল্যাটিন এবং ১৪৫৩ থেকে ১৯২২ পর্যন্ত অটোমেন সাম্রাজ্যের রাজধানী। বায়জেন্টাইন এবং অটোমেন সাম্রাজ্যের আমলে তার্কিতে অনেক মসজিদ, প্রাসাদ তৈরি হয়, যার অনেক কিছুই এখনো অবশিষ্ট আছে।
ইস্তাম্বুলে প্রথম দিনে আমাদের প্রথম টার্গেট ঘুরে আসা- হায়গা সোফিয়া থেকে।
পরের পর্বে- হায়গা সোফিয়া - একই সাথে চার্চ এবং মসজিদ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।