এই পৃথীবি আর ভাল লাগেনা চল আমরা চাঁদের দেশে চলে যাই
একটু আগেই বাইরে থেকে এসেছেন তিনি।
‘নমস্তে নমস্তে’। নারী কণ্ঠ।
চমকে উঠল যুবক।
তার মানে কি তিনি এসেছেন? যাঁকে দেখার জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে!
যার নাম শোনার পর মনে হয়েছে, সবই যেন স্বপ্ন।
যাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব পেয়ে ২৩ ঘণ্টা আকাশভ্রমণ করে আমেরিকা এসে পৌঁছেছেন, সেই { লাকি }সেন কি তা হলে এসেছেন?
হাত-পা যেন কিছুটা অবশ হয়ে আসছে।
চেয়ারটা যে ঘুরিয়ে বসবে ইয়াছিন, সেই শক্তিটুকুও বোধ হয় হারিয়ে ফেলেছে।
যুবক বাংলাদেশের নাগরিক
আরও অবাক করলেন { লাকি }
গড়গড় করে শুদ্ধ বাংলা বলতে পারেন তিনি?
‘তোমরা ভালো আছো তো?’ { লাকি } কথা বলেই চলেছেন।
ইয়াছিন, মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
এ সময় শীক্ষক ছাদেক এগিয়ে এলেন।
সবার সঙ্গে{ লাকি }পরিচিত হচ্ছেন।
দিকে তাকিয়ে শীক্ষক ছাদেক { লাকি } কে বললেন, এ হলো ইয়াছিন, বাংলাদেশ থেকে এসেছে। ’
{ লাকি } হাত বাড়িয়ে দিলেন।
ইয়াছিন, জবাব দিতে ভুল করেননি।
পাল্টা প্রশ্ন{ লাকি }র কাছে?
‘তুমি এত সুন্দর করে বাংলা শিখলে কী করে’?
{ লাকি } হাসেন।
‘আমি বাঙালি। মনে-প্রাণে বাঙালি। বাংলা আমি বলব না তো কে বলবে?’
মনে-প্রাণে বাঙালি। বাংলা আমি বলব না তো কে বলবে?’
ইয়াছিন এক কদম এগিয়ে যান। এবার আরও বেশ আন্তরিকতা { লাকি } র মধ্যে।
অহংকারের ছিটেফোঁটাও নেই তাঁর মধ্যে।
ইয়াছিনর কাছে পুরো বিষয়টি যেন মনে হয় স্বপ্নের মতো। একজন বিশ্বসুন্দরী, আজ সে-ই কিনা তার সঙ্গে বসে আছে। বাংলাদেশের একজনসুন্দরী সঙ্গে!
অনেকটা ঘোরের মধ্যেই যেন রূপসজ্জা কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন ইয়াছিন।
বাইরে হাঁড় কাঁপানো শীত।
বরফ পড়তে শুরু করছে। তবুও মনটা ফুরফুরে হয়ে যায় ইয়াছিনর ।
এক কদম এগিয়ে যান। এবার আরও বেশ আন্তরিকতা { লাকি } র মধ্যে।
হঠাত্ পেছন থেকে কে যেন তাঁকে ডাকছে এই শুনোন
তুমি ওখানে কেন? ভেতরে এসো।
ঠান্ডা ধরবে তোমাকে। ’
ইয়াছিনর কথা শুনে { লাকি } বিনা বাক্যে আবার এসে বসেন রূপসজ্জা কক্ষে।
আবার দুজনের কথপোকথন।
কী করতে আগে তুমি?{ লাকি }র সরাসরি প্রশ্ন। প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও ইয়াছিন নিজেকে সামলে নেন।
মনে মনে নিজেকে বললেন, নার্ভাস হওয়া চলবে না কিছুতেই।
‘ আমি ছাএ লেখা পড়া করতাম
ইয়াছিনর সরাসরি প্রশ্ন। কী বাবে আসা তোমার এখানে
‘আমার বয়স তখন ১৭। সে সময় মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হই। টানা ১৫ দিন হাসপাতালে থাকতে হলো।
যখন সুস্থ হয়ে উঠলাম, একদিন বাবা এসে মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললেন, তুমি বাইরে কোথাও যাও, বেরিয়ে এসো। কিন্তু আমার ইচ্ছা হলো না। এরপর বাবা বললেন, তুমি মনটাকে ভালো করার জন্য বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পার্টিতে যাও ক্লাবে যাও। বাবার কথা রাখতে একদিন গেলাম একটি ডিস্কোতে। সেখান থেকে যখন বাড়ি ফিরছিলাম, তখন হঠাত্ করেই দেখি একজন লোক আমার দিকে এগিয়ে এলেন।
আমার সামনাসামনি হলেন তিনি। আমি চিনলাম না। লোকটি আমার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। তারপর বললেন, তুমি একজন অসম্ভব সুন্দরী মেয়ে। তুমি বিউটি কনটেস্টে অংশ নাও, ভালো করবে।
লোকটির কথায় আমার রাগ হলো, কারণ লোকটি ছিল পুরোপুরি মাতাল। আমি খুবই বিরক্ত হলাম। লোকটি আমাকে তাঁর একটি ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি মনে করছো আমি মাতাল! ঠিক আছে, এই নাও আমার কার্ড। যদি তুমি মনে করো, তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ কোরো। কার্ডটি হাতে নিয়ে একটু চমকালাম।
তিনি একটি আমেরিকা বিখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক
বাসায় গিয়ে ব্যাপারটি ভাবলাম, যোগাযোগ করলাম। হয়ে গেলাম বিশ্বসুন্দরী। রীতিমতো বিষয়টি যে কাকতালীয় ছিল, সেটাও বললেন ।
{ লাকি }
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।