বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৩৮ তম বছরেও আমরা রাজাকারদের বিচার করতে পারি নি। শুধু তাই নয়, রাজাকাররা রাজনৈতিক দল করে যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে, নির্বাচন করছে এবং একবার আরেকদলের সাথে ক্ষমতায়ও গিয়েছে। আবার বড় গলায় বলছে যে তারা একাত্তারে কিছুই করেনি। বর্তমানে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার কর্তৃক স্বজনহারা,ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতকার দেখান হয়। সেখানে ৩৮ বছর আগে নির্যাতিত সেই মানুষগুলো অকপটে রাজাকার কর্তৃক তাদের নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন।
টিভি চ্যানেলগুলো তাদের নাম-ঠিকানা সব প্রকাশ করে। এখন প্রশ্ন হল সেই রাজাকাররাও তো এসব দেখে। তারা এখন শয়তানের মত আমাদের সমাজের প্রভাবশালী মহলে জাল বিস্তার করে রেখেছে। তাদের হাত থেকে সাক্ষাতকার প্রদানকারী সেই সকল নির্যাতিত ব্যক্তিবর্গকে রক্ষা করার নিশ্চয়তা কি রাষ্ট্র দেয় নাকি সেই টিভি চ্যানেলগুলো দেয়? যেখানে রাজাকারদের দিনে-দুপুরে মিথ্যা কথার কোন বিহিত আমরা করতে পারি না সেখানে তাদের দ্বারা যে আবারও নির্যাতিত বা মৃত্যুবরণ করতে হবে না সেই গ্যারান্টি কে দিবে? মুক্তিযুদ্ধে শহীদ কিংবা নির্যাতিত পরিবারগুলো কীভাবে আছে তা আমাদের অজানা নয়। সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধানের নিরাপত্তার জন্য যখন আলাদা বিমান কেনার কথা চিন্তা করা হয়, বর্তমান সরকার প্রধানের পরিবারের আজীবন নিরাপত্তার জন্য আজীবন এসএসএফের ব্যবস্থা করা হয় তখন সেই অসহায় পরিবারগুলোর নিরাপত্তার ইস্যু কোথায় থাকে? আমার নিরাপত্তার দরকার নেই।
কিন্তু সেই সকল পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিৎ যারা একাত্তরের গনহত্যার জীবন্ত সাক্ষী। আর সাক্ষাতকার প্রদানের স্বার্থে ক্যামেরার সামনে আসা ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার খাতিরে টিভি চ্যানেলগুলোরও এসকল বিষয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।