উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা মেজর জলিল ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি ১৯৭২ সালের ৩১ শে অক্টোবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠন করেন, যার কর্নধার এখন সন্মানিত তথ্য মন্তৃ জনাব হাসানুল হক ইনু।
নতুন প্রজন্মের জন্য(বিশেষ করে যারা গণ জাগরনের জোয়ারে রয়েছেন) সামান্য কিছু তথ্য দেয়া হোল এখানে (বাকি টুকু লিংক এ পাবেন)। অনুসন্ধান করলে ইন্টরনেটের এই যুগে অনেক তথ্য পাবেন। (এ ছাড়া কিছু ঐ সময় (১৯৭২~১৯৭৫) সালের স্থান - কাল - পাত্রের ঐতিহাসিক বিবরন দেয়া হোল)
১৯৭১ সনের ১০ই ফেব্রুয়ারী ১ মুসের ছুটি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে আসেন অসুস্থ মাতাকে দেখতে।
সেই অবস্থায়ই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন এবং বৃহত্তম সেক্টর নবম সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধের পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের সম্পদ লুন্ঠনের প্রতিবাদ করায় বন্দী হন। তিনিই বাংলাদেশের সর্ব প্রথম রাজবন্দী। ৭২-এর সেপ্টেম্বরে মুক্তিলাভ করে ৩১ শে অক্টোবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠন করেন। তিনি এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন।
৭২ থেকে ৭৪-এর মার্চ পর্যন্ত শেখ মুজিবের দু:শাসন এবং ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রাম করেন। ১৭ই মার্চ ৭৪ আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম পরিচালনা করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাড়ী ঘেরাও করেন। ওখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বন্দী হন। পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। মুক্তি পান ৮ই নভেম্বর ৭৫ সনে।
৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের নেপথ্য অন্যতম নায়ক তিনি। ২৩ শে নভেম্বর ৭৫-এ পুনরায় জিয়া সরকারের হাতে বন্দী হন। তাঁর বিরুদ্ধে য়ড়যন্ত্র মামলা দাঁড় করানো হয়।
বাকিটুকু এই লিংক এ
১৯৭০সালে আমার বৃহত্তর পরিবারের সকলে আওয়ামী লীগ এর একনিষ্ঠ সমর্থক ও কেউ কেউ নিশ্চয়ই কর্মি বা নেতা ও ছিলেন। আমার বড় বোন এতটাই সমর্থক ছিলেন যে ১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাসে আওয়ামি লীগ কর্তৃক প্রকাশিতব্য "স্বরাজ" পতৃকার (মাসিক হওয়ার কথা সম্ভবত) সারা বছরের জন্য গ্রাহক হওয়ার জন্য আজাদ কাশ্মীর থেকেই গ্রাহক হয়ে অর্থ পরিশোধ করলেন।
কিন্তু ঐ পতৃকা আর প্রকাশ হয়নি।
১৯৭৩ সালে আমার পরিবার "রিপ্যটৃয়েশান" এর মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরত আসি।
এসে পারিবারিক কথোপকোথনের মাঝে বুঝতে পারলাম আমার বৃহত্তর পরিবারের ৮০% শতাংশই আওয়ামি লীগ এর সমর্থক নন। বিকলপ কাউকে যে সমর্থন করবেন, সেই বিকল্পও বড় সড় করে ঐ সময়ে গড়ে ওঠেনি।
কারন হিসেবে নিকটা আত্মীয় (যার বাসায় পাকিস্তান থেকে ফেরত এসে থেকেছি), তিনি জানালেন, তার আশাকরী জুট মিল এর ম্যনেজার পদের চাকুরীটা ১৯৭২সালে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন।
১৯৭২ এর শেষে সকল কল - কারখানা জাতীয় করন করা হয়েছিল। জাতীয় করন করার ফলে শ্রমিক সংগঠন হয় (আর শ্রমিক সংগঠন সব সময় হয় সরকারী দলের)। শ্রমিক সংগঠন এর নেতাবৃন্দ পাটকল পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করা শুরু করল। যেটা বিলেতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও শিক্ষিত এই নিকটাত্মীয় ম্যনেজারের পক্ষে সামাল দেয়া বা সহ্য করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
তিনিই প্রথম আমাকে জানালেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ থেকে প্রত্য়াহার করার সময় তারা দিনে দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর ফেলে যাওয়া প্রায় সকল অস্ত্র সামগ্রী গাড়ীতে করে বাই রোড ভারতে নিয়ে গেছে।
ঐ সময় (১৯৭২~১৯৭৫)রেশন দোকান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে হোত। স্বল্পতার কারনে সকল রেশন কার্ড ধারীকে লাইন দিয়ে থোক বরাদ্দকৃত রেশন কিনতে হোত। জনগনের এতে কোন আপত্তি ছিলনা বলে জানা যায়। কিন্তু রেশন দোকানের লাইসেন্স প্রাপ্তরা অধিকাংশই ছিলেন সরকারী দলের।
আর সরকারী দলের হলে যা হয়(ওজনে কম দেয়া, কোন কোন মজুদ থাকা সত্যেও জিনিষ নাই বলে চালিয়ে দেয়া এবং পরে কাল বাজার থেকে অধিক মূল্যে তা কেনা)।
সবচেয়ে দূর্মূল্যের সামগৃটি ছিল
"গুড়া দুধ"
ঐ সময় (১৯৭২~১৯৭৪) অধিকাংশ বা বেশ কিছু খাদ্য সামগৃ বিদেশ থেকে অনুদান হিসেবে দেয়া ছিল বলে কাল বাজারে ঐ সীল সহই তা পাওয়া যেত বলে যারা একটু পড়াশুনা করেছেন, তারা সহজেই বুঝতে পারতেন যে এটি রেশন দোকান মালিকের কাজ।
ঐ সময় (১৯৭২~১৯৭৫) সালে জানা যায় সন্মানিত মতিয়া চৌধুরী সমভবত ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। এক প্রতিবাদ মিছিলের পর ছাত্র ইউনিয়নের (পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে বা পেছনে) অফিস সরকারী দলের লোকেরা জ্বালিয়ে দিয়েছিল বলে তিনি প্রতিবাদ করে জানিয়েছিলেন সরকারের (কার যেন) চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাবেন (ভুল হলে আমাকে সংশোধন করার একান্ত অনুরোধ রইল)
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের এ্যবোটাবাদে পড়াশুনা কালিন আকাশ বানী নিউ দিল্লী আধা ঘন্টার জন্য বাংলা অনুষ্ঠান চালু করেছিল। তা যদিও শুনতে ভাল লাগত তবে পরিনিত বয়সে এখন বুঝি ওগুলো ছিল "ওয়ার টাইম প্রপাগান্ডা" যা সকল যুদ্ধরত দেশই করে থাকে। ছাত্রাবাসে থাকাকালিন ঐ অনুষ্ঠান আমাদের বাঙ্গালী ছাত্রদের শুনতে হোত গোপনে।
যাক অনেক ঐতিহাসিক তথ্যের কিছু নতুন প্রজন্মের জন্য দিলাম। আশা করি বিভিন্ন উৎস থেকে তারা সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত নেবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।