আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাকা চৌধুরীর সঙ্গে চট্টগ্রামের মেয়রের রুদ্ধদ্বার বৈঠক

যতদিন লেখাপড়ার প্রতি আকর্ষণ থাকে ততদিন মানুষ জ্ঞানী থাকে। আর যখনই তার ধারণা জন্মে যে, সে জ্ঞানী হয়ে গেছে, তখনই মূর্খতা তাকে ঘিরে ধরে। - সক্রেটিস

প্রথম আলোর চট্টগ্রাম প্রতিনিধির পাঠানো রিপোর্ট : বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) ও তাঁর ৮০-৯০ জন অনুসারীকে গত মঙ্গলবার রাতে চশমা হিলের বাসায় দাওয়াত করে খাইয়েছেন চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সাকা চৌধুরী ও তাঁর অনুসারীরা প্রায় দুই ঘণ্টা মেয়রের বাসায় অবস্থান করেন। এর মধ্যে তাঁরা দুজন এক ঘণ্টারও বেশি সময় একান্তে কথা বলেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দুই নেতার এই বৈঠকে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। দাওয়াতে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন চৌধুরী ওরফে আশু প্রথম আলোকে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আমি যখন মেয়র সাহেবের বাসায় যাই, তখন তিনি (মেয়র) আমাকে জানিয়েছিলেন যে, রাতে সাকা চৌধুরী আসবেন। তাঁকে নিয়ে আসার দায়িত্বও আমাকে দেওয়া হয়। ’ তিনি আরও জানান, ‘রাতে গুডস হিলের বাসায় গিয়ে আমি চৌধুরী সাহেবকে (সাকা চৌধুরী) মেয়র সাহেবের বাসায় নিয়ে আসি। চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে ছয়টি মাইক্রোবাসে করে ৮০-৯০ জন রাজনৈতিক কর্মীও মেয়র সাহেবের বাসায় আসেন।

’ কাউন্সিলর ইয়াছিন চৌধুরী বিএনপির নেতা সাকা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মেয়রের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, সাকা চৌধুরী ও অন্যদের রাতের খাবারের জন্য দুটি গরু ও দুটি ছাগল জবাই করা হয়। তৈরি করা হয় কাচ্চি বিরিয়ানি। মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী হাসান মাহমুদ শমসের প্রথম আলোকে বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তাঁর সঙ্গীদের জন্য পোলাও, কোরমা, কাচ্চি বিরিয়ানি ও ইলিশের রোস্টসহ বেশ কয়েক পদের খাবারের আয়োজন করা হয়। তাঁরা মেয়রের বাসায় রাতের খাবার খান।

প্রতিবছর ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মেয়রের বাসায় আসেন। মেয়রের বাসায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি জানান, সাকা চৌধুরীর সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাবেদ নজরুল ইসলাম, ইয়াসিন চৌধুরী আশু, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ জাফর, মোহাম্মদ নাজেরসহ বিএনপির নেতা-কর্মী এবং কিছু ব্যবসায়ী মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে মেয়রের বাসায় যান। শুরুতে মেয়রের বাসার দোতলায় সবাইকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলে। এর ফাঁকে সবাইকে খাবার দেওয়া হয়। খাওয়ার শেষে মেয়র ও সাকা চৌধুরী তিন তলায় গিয়ে আরও প্রায় এক ঘণ্টা একান্তে আলাপ করেন।

বৈঠকে উপস্থিত দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ জাফর প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়রের বাসার স্বাভাবিক খাবার ছাড়াও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্য অতিরিক্ত ছয় পদের খাবারের আয়োজন করা হয়। রাতের খাবার খেয়ে আমরা চলে আসি। তবে মেয়রের সঙ্গে আলাপ করার জন্য সেখানে থেকে যান সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। ’ দলীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনীতির ময়দানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান বিপরীত মেরুতে হলেও চট্টগ্রামের অবস্থা ভিন্ন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বরাবরই বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল নোমান সখ্য বজায় রাখেন।

যদিও বিএনপির দলীয় রাজনীতিতে নোমান ও সাকা চৌধুরীর অবস্থান বিপরীত মেরুতে। বিগত মেয়র নির্বাচনের সময় চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকলেও তাদের মেয়র প্রার্থী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিপুল ভোটে পরাজিত হন মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে। প্রথম আলোয় আজ প্রকাশিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।