সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল যে ২৩টি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
১৯৭১ সালের ৪ বা ৫ এপ্রিল সাকা চৌধুরীর অনুসারী আবদুস সোবহাস, রাউজানের আধারমানিক গ্রামের অরবিন্দ সরকার, মতিলাল চৌধুরীর, অরুণ চৌধুরীর, শান্তি কুসুম চৌধুরীর, যোগেশ চন্দ্র দে ও পরিতোষ দাসকে গুডস হিল নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে সাকা চৌধুরীর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেন। এই হত্যাকা-ের ছয় সাক্ষী রয়েছে। ১৩ এপ্রিল সাকা চৌধুরীর নের্তৃত্বে ও পাকিস্তানি সেনারা রাউজানের মধ্য গহিরার হিন্দুপাড়ায় লোকজনকে ধরে এনে স্থানীয় চিকিৎসক মাখন লাল শর্মার বাড়ির উঠানে জড়ো করে হত্যাকা- ঘটিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার সাক্ষী ছয়জন।
১৩ এপ্রিলেই শ্রী কুন্ডেশ্বরী নামের ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অখিলচন্দ্র সিংহের ছেলে নতুন চন্দ্র সিংহকে কুন্ডেশ্বরী ভবনের মন্দিরে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে। পরে আহত নতুন চন্দ্রকে সাকা চৌধুরী গুলি করে পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। একই দিনে সাকা চৌধুরীসহ কয়েকজন ও পাকিস্তানি সেনারা রাউজানের জগৎমল্লপাড়ায়ও শান্তি সভার কথা বলে লোকজনকে কিরণ বিকাশ চৌধুরীর বাড়ির আঙিনায় বসানোর পর পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে। এ ঘটনায় নিহত হন ৩২ জন। আর এ ঘটনার সাক্ষী ১৪ জন।
১৯৭১ সালে এপ্রিল মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাউজানসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ৪৭৩ ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে সাকা চৌধুরী জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১৪৬ সাক্ষী আছেন। তার বিরুদ্ধে রাউজানের শাকপুরা, ঊনসত্তরপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
হিন্দু সম্প্রদায় ও আওয়ামী সমর্থকদের নিশ্চিহ্ন করতে সাকা চৌধুরীর নির্দেশে পাকিস্তানি সেনা সঙ্গে নিয়ে গণহত্যা চালায়। রাউজানে ৯টি গণহত্যা চালানো হয়েছে।
'৭১-এর ২০ এপ্রিল সাকা চৌধুরীর বাবা মৃত ফজলুল কাদের চৌধুরীর নির্দেশে রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা বোয়ালখালী থানার শাকপুরা গ্রামের লোকজনকে দারোগার মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সাকা চৌধুরীর নির্দেশে ফয়েজ আহমেদ, জালাল আহমেদসহ ৭৬ জনকে গুলি করে ৬০-৭০ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনার সাক্ষী ২১ জন।
সেই লোকই ..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।