মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। গতকাল বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তথ্য জানান। এটি হবে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়।
বর্তমান জাতীয় সংসদে বিএনপিদলীয় সদস্য সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৪ আগস্ট মামলার রায় অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। ২৩টি অভিযোগে তার বিচার হয়।
শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে প্রসিকিউশন। অন্যদিকে সাকা চৌধুরীকে নির্দোষ দাবি করে তার খালাস চেয়েছে আসামিপক্ষ। ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন সাকা চৌধুরী। গতকাল সন্ধ্যায় সাকা চৌধুরীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে কড়া পাহারায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। রায় ঘোষণা উপলক্ষে ট্রাইব্যুনাল-সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে আরও ছয়টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছয় মামলার আসামিদের সবাই জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ নেতা।
অভিযোগ : প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের এপ্রিলের প্রথম দিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি গুডস হিলে ছয়জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৩ এপ্রিল সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা গহিরা গ্রামে হিন্দু অধ্যুষিত পাড়ায় সশস্ত্র অভিযান চালায়।
সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনারা হিন্দুদের ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল সাকা চৌধুরীর নির্দেশে পাকিস্তানি সেনারা কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহকে ব্রাশফায়ার করে। পরে সাকা চৌধুরী তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল সাকা চৌধুরী স্থানীয় সহযোগীসহ পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে হিন্দু অধ্যুষিত জগৎমল্লপাড়ায় সশস্ত্র অভিযান চালান। পরে সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে এলাকাবাসীর ওপর গুলিবর্ষণে ৩২ জন মারা যান।
পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল সাকা চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে হামলা চালান। পরে পাকিস্তানি সেনারা বণিকপাড়ায় প্রবেশ করে অভিযান চালিয়ে নেপাল চন্দ্র ধর, মনীন্দ্র লাল ধর ও উপেন্দ্র লাল ধরকে গুলি করে হত্যা করে। আরও একজনকে আহত করে। ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল সাকা চৌধুরী হিন্দু জনগোষ্ঠীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় সশস্ত্র অভিযান চালান। ওই পাড়ায় সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনারা হিন্দু নর-নারীদের ব্রাশফায়ারে হত্যা করে।
সপ্তম অভিযোগে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পাকিস্তানি সেনা রাউজান পৌরসভা এলাকার সতীশ চন্দ্র পালিতের বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে পাকিস্তানি সেনারা সতীশ চন্দ্র পালিতকে গুলি করে হত্যা করে।
অষ্টম অভিযোগে বলা হয়, ১৭ এপ্রিল পুত্র শেখ আলমগীরসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে প্রাইভেট কারে রাউজান থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসছিলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহমদ। পথে সাকা চৌধুরীর সঙ্গে থাকা পাকিস্তানি সেনারা মোজাফফর আহমদ ও তার ছেলেকে গাড়ি থেকে নামিয়ে স্থানীয় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে শেখ মোজাফফর আহমদ ও শেখ আলমগীরকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নবম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি দুটি বড় ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে যায়। একটি জিপে করে সাকা চৌধুরীও বোয়ালখালী থানার সিও অফিসে স্থাপিত রাজাকার ক্যাম্পে যান। ওই দুটি ট্রাক একই থানার কদুরখিল গ্রামে যাওয়ার সময় মুন্সীরহাটের শান্তি দেবকে ধরে নিয়ে আসে। তাকে থানার উত্তর পাশে বণিকপাড়ায় গুলি করে হত্যা করে। তখন সাকা চৌধুরী কাছেই অবস্থান করছিলেন।
দশম অভিযোগে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা সাকা চৌধুরীর সঙ্গে ডাবুয়া গ্রামে মানিক ধরের বাড়িতে গিয়ে তার জিপ গাড়ি ও ধান ভাঙার কল লুট করে নিয়ে যায়। সাকা চৌধুরীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন মানিক ধর। ১১তম অভিযোগে বলা হয়, ২০ এপ্রিল ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে সাকা চৌধুরীর অনুসারী মুসলিম লীগের লোকজন তাদের নির্দেশেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং মুসলিম লীগ সমর্থক রাজাকার খয়রাতি, জহিরকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা শাকপুরা গ্রামে সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে হিন্দুদের হত্যা করে। ১২তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ মে সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনারা রাউজান থানার জ্যোতিমল্ল গ্রামে গুলি করে বিজয় কৃষ্ণ চৌধুরী রাখাল, বিভূতি ভূষণ চৌধুরী ও হীরেন্দ্র লাল চৌধুরীকে হত্যা করে।
১৩তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৫ মে সন্ধ্যার সময় সাকা চৌধুরীর নির্দেশে শান্তি কমিটির সদস্য অলি আহমদ পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে ঘাসিমাঝিরপাড় এলাকায় উপস্থিত হয়ে বাড়িতে ঢুকে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, দুজনকে আহত এবং অন্তত পাঁচ মহিলাকে ধর্ষণ করে।
১৪তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০ মে সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার কয়েকজন সহযোগী রাজাকার পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার পথেরহাটের কর্তার দীঘিরপাড়ে মো. হানিফের বাড়িতে যায়। তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। ১৫তম অভিযোগে বলা হয়েছে, মে মাসের মাঝামাঝি শেখ মায়মুন আলী চৌধুরীকে গুডস হিলে নিয়ে সাকা চৌধুরী ও ফজলুল কাদের চৌধুরীর নির্দেশে পরনের জাঙ্গিয়া ছাড়া সব কাপড়-চোপড় খুলে ফেলে হাত-পা বেঁধে তাকে নির্যাতন করা হয়। ১৬তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ৭ জুন রাজাকার মাকসুদুর রহমান ও ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় জামাল খান রোড থেকে ওমর ফারুককে ধরে গুডস হিলে নিয়ে সাকা চৌধুরীর নির্দেশে হত্যা করা হয়। ১৭তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ জুলাই দুই-তিনজন সহযোগীসহ সাকা চৌধুরী এবং পাকিস্তানি সেনারা চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি থানার হাজারী লেনের জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পোড়োবাড়ি থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সিরাজ ও ওয়াহেদ ওরফে ঝুনুকে অপহরণ করে গুডস হিলে নিয়ে যায়।
সেখানে মেজর গজনফরের নেতৃত্বে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়। ১৮তম অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের একদিন ফজলুল কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচর শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসু মিয়া তিন রাজাকারকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার মোহারা গ্রামে আবদুল মোতালেব চৌধুরীর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তারা মো. সালেহউদ্দিনকে অপহরণ করেন। পরে তাকে গুডস হিলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাকা চৌধুরী তাকে একটি চড় মারেন।
১৯তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৭ জুলাই হাটহাজারীর নেয়ামত আলী রোডের সাহেব মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে তার দুই ছেলে নূর মোহাম্মদ ও নূরুল আলমকে অপহরণ করা হয়। এরপর রশি দিয়ে বেঁধে গুডস হিলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নূর মোহাম্মদ ও নূরুল আলমকে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে গুডস হিলের নির্যাতন কেন্দ্র থেকে থেকে ছেড়ে দেন সাকা চৌধুরী।
২০তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৭/২৮ জুলাই রাজাকার বাহিনী আকলাচ মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গুডস হিলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
সেখানে তার মৃত্যু ঘটে।
২১তম অভিযোগে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ফজলুল হক চৌধুরীকে সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা অপহরণ করে গুডস হিলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
২২তম অভিযোগে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে মো. নূরুল আনোয়ার চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়। সাকা চৌধুরী ও তার সহযোগী আলশামস বাহিনীর সদস্যরা তাকে অপহরণ করে গুডস হিলে নিয়ে যান।
সেখানে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। নূরুল আনোয়ারের কাছ থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন সাকা চৌধুরী।
২৩তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর সলিমুল্লাহকে তুলে গুডস হিলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তার আত্দীয়দের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য : সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৪১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
ঘটনার সাক্ষীরা হলেন- অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সলিমুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম সিরু বাঙালি, গৌরাঙ্গ সিংহ, প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ, অ্যাডভোকেট নির্মল চন্দ্র শর্মা, আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, মো. সালেহ উদ্দিন, পরাগ ধর, কাজী নূরুল আফসার, সৈয়দ মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, অরুণাংশু বিমল চৌধুরী, আশীষ চৌধুরী, গোপাল চন্দ্র দাশ, নিজাম উদ্দীন আহমেদ, ফয়েজ আহমেদ সিদ্দিকী, একজন ক্ষতিগ্রস্ত নারী সাক্ষী (ক্যামেরা ট্রায়াল), দেবব্রত সরকার, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম জুনু, শেখ মোরশেদ আনোয়ার, আবুল বশর, অনিল বরণ ধর, বনগোপাল দাশ, বাবুল চক্রবর্তী বুলবুল, আবু তাহের চৌধুরী, মো. সোলায়মান, এ কে এম শফিউল্লাহ, পরিতোষ কুমার পালিত, সুবল চন্দ্র শর্মা, মো. নাজিম উদ্দিন, সুজিত মহাজন, বাসন্তি ঘোষ, মাহমুদ আলী, বিজয় কৃষ্ণ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন এবং চপলা রানী। জব্দ তালিকার সাক্ষীরা হলেন- এজাব উদ্দিন মিয়া, মো. এরশাদুল হক, মোল্লা আবদুল হাই ও কাওসার শেখ। তদন্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম।
সাফাই সাক্ষ্য : সাকা চৌধুরীর পক্ষে চারজনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তারা হলেন- সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, নিজাম আহমেদ, কাইয়ুম রেজা চৌধুরী এবং আবদুল মোমেন চৌধুরী।
মামলার ধারাবাহিক কার্যক্রম : ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল ২৩টি অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাকা চৌধুরীর বিচার শুরু হয়। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ করে গুডস হিলে নির্যাতন, দেশান্তরে বাধ্য করা ও অগি্নসংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধ। এর আগে ২০১০ সালের ২৬ জুন রাজধানীর মগবাজার এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর সকালে গ্রেফতার করা হয় তাকে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় ১৯ ডিসেম্বর।
৩০ ডিসেম্বর প্রথমবার সাকা চৌধুরীকে হাজির করা হয় ট্রাইব্যুনালে। ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। একই বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ১৮ নভেম্বর আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের ৩ ও ৭ মে উদ্বোধনী বক্তব্য উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন।
গত বছরের ১৪ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলামসহ প্রসিকিউশনের ৪১ জন।
৫ উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন : নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের রায়কে কেন্দ্র চট্টগ্রামের ৫ উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া নগর ও জেলা পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান জানান, সাকা চৌধুরীর রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা এড়াতে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড এবং হাটহাজারী উপজেলায় বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলার সব থানা পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, নগরীর প্রায় ১০০ পয়েন্টে অতিরিক্ত দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) ফরিদ উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামের সব থানা পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, নাশকতা এড়াতে সাকা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বিএনপি নেতাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
দলীয়ভাবে বিএনপি কোনো কর্মসূচি এ পর্যন্ত ঘোষণা না করলেও নেতা-কর্মীদের কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নাশকতা ঘটাতে পারে এমন শঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।