ইচ্ছে ঘুড়ি......নাটাই ছাড়া উঁড়ে চলছে...
আরিয়ান মাহমুদ খান সামি। আমার কলিজার টুকরা থেকে শুরু করে জান পর্যন্ত সব কিছু। সে আমার ভাগীনা। দুষ্টের রাজপুত্র। সে করে না এমন কোন দুষ্টমী নাই।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে মধ্যরাত পর্যন্ত সে অনবরত { ননস্টপ } দুষ্টমী করে যায়। আজব সব দুষ্টমী। সম্পূর্ণ বাড়ির দায়িত্ব যেন তার। এই কাজের পর ঐ কাজ। আর কোন কাজ নিষেধ করলে তো হইছে।
সেটা সে সবার আগে করবে এবং কয়েকবার করবে। আর বকা দিলে এত সুইট করে ঠোট বাকিয়ে কান্না করবে যে আদর না করে পারাই যায় না। আদর করতে দেরী তার দুষ্টমী শুরু করতে দেরী হবে না।
আমি কখনও চিন্তাও করি নাই আমি কোন বাচ্চাকে এত পছন্দ করব। আমি সর্বদাই বাচ্চাদের থেকে একটু দুরে থাকি।
ওর জন্মের ৬মাস পর্যন্ত আমি ওকে কোলে নেই নাই। কিন্তু ৬মাস শেষ হবার পর সে আমি ছাড়া কিছুই বোঝে না। এমনকি সে প্রথম বলছে মামা। তার ১ম কথা মামা এটা ভাবতেই আমার ভাল লাগে। যাক সে কথা................বেটা দুষ্টের দুষ্ট ,, বদের বদ আর ও যা যা আছে।
আমি মোবাইলে কথা বললেও সে আমাকে নকল করবে। আমি যা করি সব যেন তার করা লাগে। শুধু খাবার বেলা হলে বেটা সমস্যায় পরে। ওকে খাওয়ানোর মত কষ্ট দুনিয়াতে আর কিছু আছে কিনা সন্দেহ। সে কিছুই খাবে না।
এমনকি একটা সম্পূর্ন দিন ওকে না খাইয়ে রাখা হয়েছিল যেন সে খাবার খোজে। কিন্তু খাবারের তো নাম গন্ধও তার মুখে নাই। সে আরোও মহা আনন্দে ছিল। .............
আজ জুমার নামায পড়তে যাওয়ার সময় সে বায়না ধরলো সেও যাবে। কোন ভাবেই তাকে মানানো যাচ্ছিল না।
পরে বাধ্য হয়ে তাকে মসজিদে নিয়ে যাওয়া হলো। ভেবেছিলাম সে অনেক দুষ্টমী করবে। কিন্তু না ,,,সে তেমন কোন দুষ্টমীই করলো না। সবার মত বসে ছিল। এমনকি নামাযে রুকুর সময় সে রুকু ও করলো।
কিন্তু কিছুক্ষন পর সে মাথার টুপিটা নিয়ে নিল। মোনাযাতের সময় সে অন্যদের দিকে দেখে বলে সবাই কি করে। তখন ওকে বুঝানো হলো। অত:পর তাকে মোনাযাত করিয়ে বাসায় নিয়ে আসা হলো। তার ১ম দিন মসজিদে ভালই গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।