জাফনা স্কুল থেকে একখানা ঈদ কার্ড পেয়েছে। মহা খুশী । সারাদিন লুকিয়ে রাখছে। কেউ এলে তাকে বের করে দেখাচ্ছে। ১১ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে।
আলাদিনের জ্বীনকে যেমন কোন না কোন কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখতে হয়, নইলে সে মালিক কেই মেরে ফেলতে চায়। বাচ্চাগুলো হল সে রকম। প্রাণশক্তির অভাব নেই, সারাদিন খেলা খেলা তারপরও শেষবেলা বলে একটুও খেলতে পরলাম না; তাই আমি বলি এগুলো হল আলাদীনের জ্বীনের মত। এদের যত পারো ব্যস্ত রাখো। আমার প্রজাপতি ভুতটা এগারো দিন শুধু কার্টুন নিয়ে মেতে থাকবে তা তো হয় না।
আবার জ্বর থেকে কেবল উঠল, খুব বাইরে ঘোরাঘুরিও ঠিক হবে না। তাই তার মাথায় ঈদ কার্ড বানানোর পোকাটা ঢুকিয়ে দিলাম। বললাম সব ভাইয়া আপু বন্ধুদের জন্য কার্ড বানিয়ে গিফট করো। সে তো মহা উচ্ছসিত। গতরাতে চলেছে আমাদের প্রস্তুতি পর্ব।
ভুলভাল করে বেশ কিছু কাগজের জলাঞ্জলী হল। আজ চলছে ফাইনাল পর্ব।
বেশকিছু কার্ড বানানো হয়েছে, বাকীগুলো চলছে। আমি হলাম যোগানদার। এবং যে বানানগুলো পারে না, সেগুলো প্রম্ট করছি।
ইতোমধ্যে ঈদ মোবারক এর ইংলিশটা শিখে ফেলেছে। আমাকে আর লাগছে না।
এটা তার বন্ধু অরণী র জন্য।
এটা তার আব্বা আম্মার জন্য।
এটা ভাইয়া দুজন এর জন্য
শুধু কার্ড এর ছবিতে মন ভরছে না, তাই নিজেও পোজ দিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।