আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের গডফাদার তারেইক্ক্যার দুর্নীতির কয়েকটি নমুনা

আমি একজন ছাএ তারেক রহমান! বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত একটি নাম। যার নামের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে সন্ত্রাসী, দুর্নীতি, কালোবাজারী, লুটপাট, বাংলা ভাই, শায়খ আঃ রহমান ও মুফতি হান্নানদের মত অসংখ্য জঙ্গীবাদের উত্থান দাতা............ ইত্যাদি ইত্যাদি। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে যার প্রকাশ্য মদদে দেশব্যাপী বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, এটা কারও অজানা নয়। তার সকল অপকর্ম পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল হাওয়া ভবন। আর এই হাওয়া ভবনের মসনদে বসেই তিনি বিভিন্ন দেশ ধ্বংস যজ্ঞ কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন।

যার মধ্যে অন্যতম ছিল বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি। বিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের ইস্যু বানিয়ে, শুধুমাত্র বিদ্যুতের খাম্বা পুঁতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান। তাছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্টে এতিম ও গরিব-দুঃখীদের জন্য সঞ্চিত টাকা লুটপাট করেছিল তারেক ও তার সহযোগী সাবেক সরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, ব্যবসায়ী গিয়াস আল মামুন সহ অনেকে। অথচ এই তারেক রহমানকেই বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোট ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোসনা করেছে। তাই আসুন! এক নজর ফিরে দেখি “তারেক রহমানের রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত জোটের বিগত সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের দুর্নীতির কয়েকটি নমুনা”।

দেশটাকে লুটপাট আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলো জোট সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা। বাংলাদেশকে পরপর চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং তলাহীন বাংলাদেশে পরিণত করার পায়তারা করছিল সে সময়ের ক্ষমতাসীন মন্ত্রী ও সাংসদেরা। আসুন একনজর চোখ বুলিয়ে নিই- ১. জোট সরকারের ১৬ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খোদ বিএনপির সাংসদদের উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত না করা এবং অপরাধীদের প্রশ্রয়দান; ২. সিএনজি অটো রিক্সার রুট পারমিশন বাবদ বখরা আদায় ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা; ৩. সারের ভর্তুকি, দুর্যোগ মোকাবিলা, ভিজিএফ কার্ড, কাবিখা, বন্যা পুনর্বাসন কর্মসূচি থেকে লোপাটের পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকা; ৪. সরকারি জোটের এমপিদের (অডিট বিহীন) আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বরাদ্দের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা; ৫. টেলিযোগাযোগ, টেলিভিশন সম্প্রচার খাতে দুর্নীতির পরিমাণ ৩২ হাজার কোটি টাকা; ৬. নৌ-পরিবহনমন্ত্রী কর্নেল আকবরের দুর্নীতির কারণে ২৫২ কোটি টাকার ডেনিস অনুদান বাতিল; ৭. টেলিটক প্রকল্পে অতিরিক্ত বরাদ্দের মাধ্যমে ১৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ; ৮. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের ৩১ কোটি টাকা লোপাট; ৯. যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা কর্তৃক তার স্ত্রীকে বিনামূল্যে রেলওয়ের ১০ কোটি টাকা মূল্যের জায়গা বরাদ্দ; ১০. গুলশান-বনানীর প্রতি কাঠা কমপক্ষে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের জমি মাত্র ৪ লাখ টাকা কাঠা ধরে জোট সরকারের ১৬ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও ৩৪ সংসদ সদস্যসহ বিএনপি-জামাত জোটের নেতা-কর্মীদের অবৈধভাবে সরকারি জমি বরাদ্দ করে ‘বিএনপি পল্লী’ সৃষ্টি। ১১. ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের বিশেষতঃ সংখ্যালঘু ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোট দস্যুদের চাঁদা আদায় ন্যূনতম ১ হাজার কোটি টাকা; ১২. সরকারি জমি লিজ ও বন্দোবস্ত বাবদ রাষ্ট্রের ক্ষতি করে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ; ১৩. সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি আত্মসাতের পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; ১৪. কৃষি ঋণ ও শিল্প ঋণের নামে জোট ক্যাডারদের লুটপাটের পরিমাণ ৩ হাজার ২২কোটি টাকা; ১৫. হাওয়া ভবনের যোগসাজশে ভারত থেকে ১০০ কোটি টাকা পচা গম আমদানি; ১৬. জেট ফুয়েলের নামে ১০ হাজার ৩শ’ টন কেরোসিন আমদানি; ১৭. ২০ হাজার টন নিষিদ্ধ বিষাক্ত টিএসপি সার আমদানি; ১৮. পুরনো ঢাকায় সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের ১০০ কোটি টাকার ওপর জায়গা জমিদখল; ১৯. উপকূলীয় নারিকেল বাগান প্রকল্পের ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ। ২০. বিডি ফুডসের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে হেরোইন পাচারের সঙ্গে জামাতে ইসলামির সম্পৃক্ততা।

২১. অর্জিত অবৈধ অর্থ জামাতের এমপি শাজাহানের মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতায় ব্যয় এবং জামাতের তহবিলে জমা। এখন বিএনপি জোট সরকারের নেতারা সেগুলো বেমালুম ভুলে গেছেন। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা, নীতিশাস্ত্র বেমানান। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.