আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলপাই মামুদের রাজনীতি

রাজাকার ও তাদের বংশধরেরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাই পাবে

ক্ষমতার প্রতি কোনো মোহ নেই বারবার বললেও ওয়ান ইলেভেন পরবর্তীসময়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ অন্তত তিনবার ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী কূটনীতিকদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও গ্রিন সিগনাল না পাওয়ায় ক্ষমতা দখল করতে চাননি জেনারেল মইন উ আহমেদ এটা সত্যি নয়। জাতির সামনে তিনি বারবার অসত্য বলেছেন। বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, জেনারেল মইন ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন অন্তত তিন বার। সফল হননি নানা ঘটনায়, নানা চাপে।

এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ভেতরকার প্রতিরোধ অন্যতম। বিদেশি প্রতিক্রিয়াও ছিল নেতিবাচক। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র চায়নি জেনারেল মইন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। মইনের পক্ষ থেকে একাধিকবার হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করা হয়। কনভিন্স করার চেষ্টা চলে, ক্ষমতা না নিলে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।

১১ জানুয়ারি ২০০৭ এর আগে তেমন জোরালো লবি ছিল না। লবি শুরু হয় জানুয়ারির শেষ দিকে। হোয়াইট হাউস পর্যন্ত পৌঁছে যায়। জেনারেল মইন নিজে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিসকে জানান, এভাবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চলে না। সেনাবাহিনী যদি ক্ষমতা না নেয় তাহলে রাজনৈতিক চাপ বাড়বে।

কাজের কাজ কিছুই হবে না। ক্ষমতা আসলে কোথায় জনগণ জানে না। বিউটেনিস মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে বিষয়টি জানান এক বার্তায় ফেব্র“য়ারির শেষ ভাগে। তার পর অপেক্ষার পালা মইনের। ১৮ মার্চ আবার যোগাযোগ করেন দূতাবাসের সঙ্গে।

এবার যোগাযোগ করেন একজন প্রভাবশালী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। বলেন, মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে হলে একটি তৃতীয় ফ্রন্ট খোলা দরকার। আর এই ফ্রন্ট হতে পারে জেনারেল মইনের নেতৃত্বে। দুটি দলে যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে তা এগিয়ে নিতে হলেও প্রয়োজন একটি ফ্রন্টের। এবার কিছুু জবাব আসে বুশ প্রশাসন থেকে।

পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়, আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় আরেকজন মোশাররফ তৈরি করতে চাই না। কথা শুনে মইনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যাবে! জেনারেল মইন দমবার পাত্র নন। রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকলেন। দুই নেত্রীকে গ্রেফতার করে তাদের নামে মামলা দেয়া হলো দুর্নীতির।

আওয়ামীলীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামেও দুর্নীতির মামলা রুজু হলো। অনেককেই গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হলো। দুই দলের সংস্কারবাদিরা তখন সক্রিয়। জেনারেল মইনকে ঘন ঘন সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে টেলিভিশনের পর্দায়।

মে মাসের গোড়ার দিকে ফরমেশন কমান্ডরদের এক বৈঠকে একজন জেনারেল বলেন, আমাদের বেশি বেশি টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে। এতে জনগণ ভুল বুঝতে পারে। সেনা ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই জেনারেলকে বদলি করা হলো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে। বর্তমানে ওই জেনারেল অবশ্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ এক পদে বহাল হয়েছেন।

২০০৭ এর মে মাসের এক সকালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীকে ডেকে পাঠালেন মইন। একটি তালিকা হাতে দিয়ে বলেলেন, ওদের সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগাযোগ করতে হবে। একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাই। জেনারেল এরশাদ যেভাবে জাতীয় পার্টি গঠন করেছিলেন ঠিক সে আদলে একটি দল গঠন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করাই তার উদ্দেশ্য। বারী যোগাযোগ স্থাপন করলেন।

গুলশানে একাধিক বৈঠক করলেন রাজনীতিকদের সঙ্গে। আওয়ামীলীগের এক সাবেক এমপির বাসায় বৈঠক বসলো। ২৬ জন সাবেক এমপির উপস্থিতিতে ব্রিগেডিয়ার বারী তাদের পরিকল্পনার কথা জানালেন। দীর্ঘ আলোচনার পর ঠিক হলো নয়া দলে তারা শরীক হবেন। এরপর অবশ্য ওই বৈঠকে হাজির এমপিদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিল।

কারণ, তারা জানতেন না কেন ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। নেত্রীকে মাইনাস করার প্রস্তাব সম্পর্কে তারা আগেভাগে কিছুই জানতেন না। এই বৈঠকের খবর চাউর হয়ে গেল সর্বত্র। নেত্রীর কানেও পৌঁছে দিলেন কেউ কেউ। শেষ পর্যন্ত এমন হলো বিগত নির্বাচনে মনোনয়নই পেলেন না বৈঠক আয়োজনকারী, যিনি এক সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার বারীর মিশন যখন এগিয়ে চলছে তখনই আরকবার মইন তার নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানালেন। এবার ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীকে নিয়ে দল করতে হবে। কোরেশী মত দিলেন। কাজ শুরু করলেন কোরেশী। একপর্যায়ে মইনের আগ্রহে ভাটা পড়ল।

ফের বারীকে ডেকে বলেলেন, আপাতত দল নয়। অন্যভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এরই মধ্যে চলে গেলেন ভারত সফরে। সেখান থেকে ফিরে এসে নয়া পরিকল্পনার কথা জানালেন সহকর্মীদের কাছে। বললেন, এভাবে নয়।

রাজনীতিকদের সঙ্গেই বোঝাপড়া করতে হবে। কোন দলের সঙ্গে সমঝোতা করা যায় তা নিয়েই এখন কাজ করতে হবে। বলে রাখা ভালো, যে ক’জন জেনারল মইনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে প্রধান অন্তরায় ছিলেন তাদের অন্যতম জেনারেল মাসুদ উদ্দিন। নবম পদাতিক ডিভিশন থেকে তাকে সরিয়ে পিএসও করা হলো মাসুদের অজান্তে। অবশ্য তাকে পদোন্নতি দিয়ে লে. জেনারেল করা হলো।

একজন লে. জেনারেল তো জিওসি থাকতে পারেন না। মাসুদ টের পেয়েছিলেন। কিন্তু তার করার ছিল না কিছুই। বরং তাকে অনেকটা নজরবন্দিই করে রাখা হয়েছিল। জেনারেল মইন যেদিন তার চাকরির মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ান সেদিন পিএসও’র দায়িত্বে থেকেও টের পাননি।

মইনর পক্ষে সোজা ফাইল নিয়ে বঙ্গভবন গিয়েছিলেন একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। যিনি পর মেজর জেনারেল হন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন অন্য অভিযোগে। বলাবলি আছে, এই মেজর জেনারেলই নির্বাচনের আগে রাজনীতিকদের সঙ্গে দর কষাকষি করেছিলেন। সমঝোতা হয়েছিল তারই নেতৃত্বে।

সেটা এখন অতীত। জেনারেল মইন রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য একটি কমিশনও গঠন করেন। আটজন ব্রিগেডিয়ারকে দায়িত্ব দেন, যারা তুরস্কসহ নানা দেশের সংবিধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি রিপোর্ট জমা দেন। তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ক্ষমতার ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করা যায় তারও একটি ফর্মুলা দেন। মইন রাষ্ট্রপতি হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়েও পর্দার আড়ালে সংলাপ চলে।

মইনের প্রথম পছন্দ ছিল বিএনপি থেকে কাউকে নেয়া। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ এস্কান্দারের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন অন্তত দু’দফা। এই সাঈদ এস্কান্দারই তাকে সেনাপ্রধান নিয়োগে ভূমিকা পালন করেছিলেন। জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারকে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করা হয়েছিল। সাঈদ এস্কান্দারসহ আরো তিনজনের চাপে খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্ত বদল করেন।

সাঈদ এস্কান্দার যাতে খালেদার অবর্তমানে বিএনপির নেতৃত্ব কব্জা করতে পারেন সে জন্য এক সন্ধ্যায় তাকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। সিদ্ধান্ত ছিল খালেদা জিয়াকে নির্বাসনে পাঠানো হবে। এই সময় দল চলবে কীভাবে? তারেক রহমানও জেলখানায়। এই পটভূমিতে খালেদাকে অনেকটা বাধ্য করে এই সিদ্ধান্ত আদায় করা হয়। এখানেও গোয়েন্দা চাপ ছিল প্রবল।

শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব বেঁকে বসায় খালেদাকে নির্বাসনে যেতে হয়নি। ওদিকে শেখ হাসিনাকেও দেশে আসতে দিতে বাধ্য হন সেনাশাসকরা। দৃশ্যপট পাল্টে যেতে শুরু করে। ২০০৭-এর সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের কার্যকলাপ যখন শেষ হতে চলেছে তখন জেনারেল মইন আবার তৎপর হন। ইয়াজউদ্দিনকে আর এক্সটেনশন নয়।

তাকে বিদায় জানিয়ে সর্বময় ক্ষমতার মালিক হবেন তিনি। তার পছন্দের দুই জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হলেন। পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেল যেকোনো কারণে। সংবাদ মাধ্যমেও খবর আসতে শুরু করলো। এই যখন অবস্থা তখন ঢাকাস্থ একজন পশ্চিমা কূটনীতিক (যিনি ডেপুটি চিফ অব মিশন ছিলেন) সরাসরি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানান, রাষ্ট্রপতি হওয়ার চেষ্টা করবেন না।

এটা আপনার কাজ নয়। নির্বাচনের পথেই যেতে হবে। গত জুলাই মাসে এই প্রভাবশালী কূটনীতিক দেশে ফিরে গেছেন অন্য এক অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে। যখন তিনি মইনের সঙ্গে বৈঠক করেন তখন তিনি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। তার কথা শুনে মইন রীতিমতো হতবাক।

কারণ তাকে ইউরোপীয় কয়েকজন কূটনীতিক আশ্বাস দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে নয়, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে দায়িত্ব পেলে তাদের আপত্তি থাকবে না। একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ নাকি একটি ফর্মুলাও বের করেছিলেন। যে ফর্মুলায় সেনাশাসন জারি না করেও মইনের রাষ্ট্রপতি হতে আইনগত অসুবিধা ছিল না। কিন্তু সেই পশ্চিমা কূটনীতিক সব ওলটপালট করে দেন। মইন তখনও বসে নেই।

তার পক্ষে একজন পদস্থ সেনা কর্মকর্তা কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যর্থ হচ্ছে পদে পদে। যে কোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। দুই নেত্রীর মধ্যে ফোনে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে এই খবরও দেয়া হয় কূটনীতিকদের। বোঝানো হয় দুই নেত্রী এক হয়ে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে।

তখন সত্যিই সমস্যা হবে। জেনারেল মইনের সঙ্গে একজন কূটনীতিক সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি নিজেই বলেন, এভাবে আর পারা যাচ্ছে না। তোমাদের পরামর্শে সেদিন আমরা ক্ষমতা নিয়েছিলাম ভিন্ন কৌশলে। এখন সে কৌশল অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সামনে রেখে ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নয়। বোধ করি এটাই ছিল মইনের শেষ ইচ্ছা।

তার কথাবার্তা শুনে বিদেশি কূটনীতিকরা কম-বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন। এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রত্যক্ষভাবে নাক গলানো নিয়ে সমাজে তখন বিরূপ আলোচনা চলছে প্রকাশ্যে। তারা বৈঠকে মিলিত হন কয়েক দফা। এরপর সিদ্ধান্ত হয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা চাপ দেবেন তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনকে। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই ইন্টান্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র“প ২০০৮ সালে ২৮ এপ্রিল ব্রাসেলস থেকে এক দীর্ঘ বিবৃতি ইস্যু করে।

যাতে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেয়া হয়, চালাকির সুযোগ নেই। নির্বাচন দিতে হবে যতো দ্রুত সম্ভব। বলা হয়, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করতে হবে নির্বাচনের অন্তত দুইমাস আগে। রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে। সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

২০০৮-এর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। এ নিয়ে কোনো সময়ক্ষেপণ চলবে না। এমনকি সুনির্দিষ্ট তারিখের কথাও বলা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা চলবে না। দুর্নীতির নামে নয়, সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা ছাড়া কাউকে আটক করা যাবে না। মাইনাস টু থিওরি থেকে সরে আসতে হবে। হাসিনা-খালেদা ট্রায়াল হতে হবে উচ্চ আদালতে। সেখানে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ চলবে না।

হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগকে সঠিকভাবে কাজ করতে দিতে হবে। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসতে উৎসাহিত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের জন্য আর চাপ দেয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ভারত, জাপান, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র“প অন্তত দশটি বিষয়ে তাদের সহযোগিতা কামনা করে। এর মধ্যে রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পদস্থ কর্মকর্তারা যাতে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন সে কথাও বলা হয়। সব রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনে অংশ নেয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগে বা পরে সহিংসতা যাতে না হয় সেদিকেও বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে তদারকি প্রশাসন কিংবা সেনাদের হয়রানির শিকার না হয় সেদিকটার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র“প তাদের মূল্যায়নে জানায়, নির্বাচন দেরি হলে মিলিটারিরা যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তাতে যে কোনো সময় সংঘাত শুরু হয়ে যেতে পারে।

এতে দেশটার অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এই লাল নোটিস পাওয়ার পর জেনারেল মইনের সব ইচ্ছাই ভণ্ডুল হয়ে যায়। অনেকটা অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয় রাজনীতিবিদদের কাছে। নির্বাচনে পথে যায় দেশ। ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

জেনারেল মইনদের ভাগ্য লেখা হয়ে যায়। ( আমাদের সময় হতে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।