দেশীয় পুঁজির বিকাশ ঘটাতে ব্যাংক ও মিডিয়ার পারস্পরিক সহায়তা জরুরি। এই সহযোগিতার মাধ্যমে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে বিকশিত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স হলে দেশের সরকারি- বেসরকারি ব্যাংকের জনসংযোগে বিভাগের কর্মকর্তাদের সংগঠন পাবলিক রিলেশন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (প্রাব) নেতাদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের এঙ্িিকউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সংগঠনের প্রেসিডেন্ট কথা সাহিত্যিক আতাউর রহমান, এনসিসি ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সংগঠনের সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান টিপু, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের হেড অব মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট আজম খান, এবি ব্যাংকের এভিপি ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ইনচার্জ তানিয়া সাত্তার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জনসংযোগ প্রধান শামসুদ্দোহা শিমু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভায় সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, হলমার্কের মতো ঘটনা ঘটলে আমরা কখনোই আড়াল করব না। আবার আমরা এমনটাও চাই না, আমাদের রিপোর্টের কারণে ব্যাংকিং খাত ক্ষতিগ্রস্ত হোক। তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকিং খাতকে আগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশ প্রতিদিনে ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য আগের চেয়ে বেশি জায়গা বরাদ্দ থাকবে। তবে আমরা ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনের চেয়ে আপনাদের ইতিবাচক কাজগুলোর খবর বেশি করে ছাপতে চাই।
এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সূচনা বক্তব্যে পীর হাবিবুর রহমান বলেন, কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের সম্পর্ক আত্দার সম্পর্কে পরিণত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গণমানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চাই। ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কথা সাহিত্যিক আতাউর রহমান (আতা সরকার) বলেন, হলমার্কের জন্য শুধু ব্যাংকিং সেক্টর দায়ী নয়, এর সঙ্গে রাজনীতিও দায়ী। এই ঘটনার রিপোর্টিংয়ের জন্য সোনালী ব্যাংকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, পুরো ব্যাংকিং সেক্টরের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়েছে।
দেশীয় কর্পোরেট পুঁজির বিকাশের ক্ষেত্রে বসুন্ধরা গ্রুপের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি কর্পোরেট পুঁজির সঙ্গে দেশি পুঁজির কঠিন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। ব্যাংকিং খাত এতে দেশীয় পুঁজির পক্ষে কাজ করছে। এনসিসি ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু বলেন, শীর্ষ প্রচার সংখ্যার কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা বেশি। আমরা চাই ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য আলাদা পাতা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের হেড অব মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট আজম খান বলেন, আপনাদের পত্রিকায় স্পেস পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়।
আপনাদের নিয়মিত পাতা না থাকায় ব্যাংকের নিউজ গুরুত্ব পাচ্ছে না। এখন দেশে ৬০টি ব্যাংক রয়েছে। শুধু বিজ্ঞাপন ছাপার জন্য নয়, আমরা আপনাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ করতে চাই। সামাজিক আন্দোলনে থাকতে চাই। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের এঙ্িিকউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সামী আল হাফিজ বলেন, সাভার ট্যাজেডির পর আমরা ব্যাংকগুলো মিলে ৮০ কোটি টাকা দিয়েছি।
আরও অনেকে সহায়তা করেছেন। সেটার ফোকাস সেভাবে পত্রিকায় আসেনি। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই সহায়তা পাননি। পত্রিকার কাজ হলো জবাবদিহিতা আদায় করা। এবি ব্যাংকের এভিপি ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ইনচার্জ তানিয়া সাত্তার বলেন, কোনো পত্রিকায় ভুল বা নেগেটিভ রিপোর্ট ছাপা হলে তার জন্য আমাদের ম্যানেজমেন্টের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে আমরা সব সময় আপনাদের সহায়তা চাই। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জনসংযোগ প্রধান শামসুদ্দোহা শিমু বলেন, ব্যাংকিং খাতে এখন স্থবিরতা চলছে। এই সময়ে মিডিয়ার সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার নজরুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের ডিজিএম মোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের এজিএম আবদুল খালেক, ইউনিয়ন ব্যাংকের জনসংযোগ প্রধান আবদুল কাদের, হাবিব ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রফিকুল ইসলাম, এনসিসি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল হামিদ সোহাগ, ব্যাংক আল ফালাহ-এর হেড অব ফিন্যান্স অ্যান্ড এডমিন আবু নাঈম খসরু, রূপালী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের এজিএম আবদুল্লাহ আল নাজিম। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রতিদিনের মার্কেটিং অ্যাডভাইজর খন্দকার কামরুল হক শামীম, প্রধান বার্তা সম্পাদক মাশুক চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক কামাল মাহমুদ, প্রধান প্রতিবেদক মনজুরুল ইসলাম, হেড অব মার্কেটিং মাসুদুর রহমান, কমার্শিয়াল ম্যানেজার মহিউদ্দিন আহমেদ, হেড অব সার্কুলেশন বিল্লাল হোসেন মন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।