একজন অলস মানুষ আমি
চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী নগরীর বিভিন্ন স্থানে গজিয়ে উঠা আলো-আঁধারী রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান চালিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের আটক করেছিলেন। যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। মা-বাবাকে ডেকে এনে তাদের সামনে মুচলেকা দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার অঙ্গীকারও করেছিল তারা। কিন্তু বন্দর ম্যাজিস্ট্রেট বদলী হয়ে যাবার পর অন্য কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ ধরনের অভিযান না চালানোয় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা আবারো এসব রেস্টুরেন্টে আড্ডাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। সম্প্রতি নগরীর প্রবর্ত্তক মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত রেস্টুরেন্ট ‘ব্লু’ রিভার্স এ ভাত খেতে আসা বাঁশখালীর একজন রোগী এমনই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।
বাইরে ঘরোয়া পরিবেশে খাবার ব্যবস্থা সম্বলিত সাইনবোর্ড লেখা দেখে ভেতরে গিয়ে অর্ডার দিতেই দামী খাবার চলে আসে। এসময় ভেতরে হালকা অন্ধকারে অশ্লীল ভঙ্গিতে আড্ডারত কলেজের শিক্ষার্থীদের দেখে খুবই লজ্জায় পড়ে যেতে হয়। খাবারের উচ্চমূল্য এবং ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীদের এ ধরনের আড্ডা থেকে বিরত রাখতে ম্যানেজারকে অনুরোধ জানালে তিনি জবাব দেন, এটা মন্ত্রীর রেস্টুরেন্ট। এখানে যেমন ইচ্ছে তেমনই চলবে। চট্টগ্রামের অধিকাংশ অভিজাত চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অবস্থা চলতে থাকলেও এতে কারো মাথাব্যথা নেই।
তাই তরুণ-তরুণীদের বেপরোয়া জীবনযাপন সম্পর্কে প্রথমে পরিবার এবং পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপসি'তির হার নির্ণয়সহ অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর ব্যবস্থা নেয়া হলে এসব বদঅভ্যাস দূর করা যেতে পারে। একই সঙ্গে এ ধরনের সুযোগ দেয়ার অপরাধে পুনরায় ম্যাজিস্ট্রেসী অভিযান শুরু করে সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে শাস্তির বিধান করলে যুব সমাজ অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
(দৈনিক আজাদী, ০৮/০৯/০৯)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।