অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি
[হরতালের সমর্থনে দেওয়া আমার গত পোস্টটি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। ব্লগারদের বেশীরভাগের ধারণা আনু মোহাম্মদ স্যার সহ প্রতিবাদীদের উপর পুলিশী হামলার সমর্থক আমি। আওয়ামী লীগের ওপর অন্ধ বিশ্বাস আমার বিবেককে স্তব্ধ করে দিয়েছে। ব্লা ব্লা ব্লা। এক শুভানুধ্যায়ী ব্লগার বললেন এই প্রতিবেদনটা বাংলা করে দিতে।
আংশিক করলাম, লিংকও দিলাম মূল প্রতিবেদনের। আমার জিজ্ঞাসা অতি সামান্য- আগে আমাদের গ্যাস ও তেল ব্লকগুলো আমাদের অধিকারে আছে সেটা কি আমরা নিশ্চিত? ইজারা নিয়ে হৈ চৈয়ের আগে সেটা নির্ধারণই কি জরুরী নয়? প্রতিবেদনটি ২২ মে লেখা হয়েছিলো]
মূল প্রতিবেদন এখানে :
খুব বেশী সময় নেই, অথচ বঙ্গোপসাগরে ইকোনমি জোনের ওপর দাবি প্রতিষ্ঠায় এখনও স্থবির সরকার। এবং প্রতিবেশীদের চেয়ে যথেষ্টই পিছিয়ে। ঢাকার হাতে মাত্র দু মাসের মতো সময় আছে এজন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কি উচিত নয় গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রাজনৈতিক নেতা, অর্থনীতিবিদ, ভূতত্ববিদসহ সুধীজনদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় ঐক্যমতে আসা।
যদিও কন্টিনেন্টাল শেলফের (সাগর তলদেশ) ওপর বাংলাদেশ তার দাবি জানানোর জন্য ২০১১ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত সময় পাচ্ছে। কিন্তু তার আগে এ বছর Commission on the Limits of the Continental Shelf-এর ২৪তম অধিবেশনে ভারত ও মায়ানমারের বিতর্কিত দাবির ব্যাপারে সমঝোতায় আসতে হবে।
সি কনভেনশন আইনের আর্টিকেল ৭৬ এর ষষ্ঠ খন্ড অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরের তলদেশের ওপর নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত, মায়ানমার এবং শ্রীলংকা এর মধ্যেই নিজেদের দাবিনামা পেশ করেছে। এরমধ্যে ভারত ও মায়ানমার বিধিবদ্ধ ২০০ নটিকাল মাইলের চেয়ে বেশীই দাবি করে বসেছে।
এ বছর ৩০ এপ্রিল মায়ানমার তাদের দাবি হালনাগাদ করেছে, ভারত তা করেছে ১২ মে আর শ্রীলংকা করেছে ৮ মে।
আগস্টের আগেই বাংলাদেশকে নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা ও বিবাদ মিমাংসার জন্য আবেদন করতে হবে। ১০ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বসছে Commission on the Limits of the Continental Shelf-এর ২৪তম অধিবেশন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের তলদেশে বাংলাদেশের নায্য অংশের ওপর থাবা বসাতে ভারত ও মায়ানমার যৌথ কৌশল গ্রহণ করেছে। সত্যি বলতে মায়ানমারের দাবিনামা প্রস্তুতে ভারত এবার সাহায্য করেছে। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হচ্ছে আগের মতো এ ব্যাপারে এবার চীনের সাহায্য নেয়নি মায়ানমার! সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে এবার মায়ানমার-ভারত যৌথভাবে তাদের দাবির অংশ বাড়িয়েছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ কোনো বিদেশী কোম্পানির কাছে তেল অনুসন্ধানের জন্য যাতে ব্লক লিজ দিতে না পারে তা ঠেকাতে দুটো দেশই তৎপর।
২৪তম অধিবেশনের আগেই বাংলাদেশের নিজেদের দাবিনামা দাখিল করার কথা থাকলেও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক মহলের খবর অনুযায়ী বাংলাদেশ এখনও কোনো কাগজপত্র তৈরি করেনি। অথচ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের ওপর ইতিমধ্যেই হামলে পড়েছে মায়ানমার ও ভারত। দুদেশই তাদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই নিজেদের দাবিনামা দাখিল করেছে।
৩০ এপ্রিল হালনাগাদ করলেও মায়ানমার তাদের প্রথম দাবিনামা দাখিল করে গতবছরের ১৬ ডিসেম্বর।
এখন কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে তারা। মুখবন্ধে মায়ানমার দাবিনামার পক্ষে লিখেছে-"to the United Nations Commission on the Limits of the Continental Shelf (CLCS) pursuant to Article 76, paragraph 8 of the Convention in respect of the establishment of the outer limits of the continental shelf beyond 200 nautical miles (M) from the baselines from which the breadth of the territorial sea of Myanmar is measured."
এতে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে রাখাইন শেলফের পর থেকে আরো দুশো নটিকাল মাইল দাবি করছে তারা-"Myanmar is making its submission for extension of its continental shelf in the Bay of Bengal, off Rakhine, and referred to as Rakhine Continental Shelf, beyond 200 nautical miles." The country has collected geophysical data from large area for preparation of the submission.
উপরি হিসেবে আরো ৬০ নটিকাল মাইল দাবি করবে রেঙ্গুন ভূতাত্ত্বিক ও তলদেশে পরীক্ষানিরীক্ষার নানা অজুহাতে। অন্যদিকে ভারত দাবি করছে সাড়ে তিনশো নটিকাল মাইল! Now India is claiming up to 350 nautical miles (NM) from its baseline invoking Article 76 clause V, VI, VII and VIII as continental shelf. This is beyond 200 NM, of the normal territory. If Myanmar extends 60 NM beyond 200 nautical miles and India extends up to 350 nautical miles, the curved coast line may stop Bangladesh to get her outlet. Sri Lanka also has submitted its claim on the southern part of the Bay of Bengal beyond 200 nautical miles, while the Indian line has passed with short distance of less than 24 nautical miles and as such India has already proposed a 'separate agreement' on this issue with Sri Lanka. In fact in terms of establishing claim on the Bay of Bengal Bangladesh has become isolated.
কৃতজ্ঞতা : নুরুজ্জামান মানিক ও এহহামিদা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।