আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুধের মাছি

সুযোগসন্ধানীরা সব সময়ই দুধের মাছির মতো ক্ষমতার আশপাশে ঘুরঘুর করে। সুযোগ বুঝে ক্ষমতার মধুতে চুমুক বসানোর জন্য তাদের 'কোপ' বসানোর দক্ষতা সত্যিই মুগ্ধ করার মতো। ক্ষমতার চাদরে আয়েস করে দিন পার করা লোকেরা আবার ঠিক উল্টো। দুধের মাছিদের ভনভন করে আশপাশে উড়ে বেড়াতে দেখলেই এরা ভেবে বসে_ আহা, ভনভন সুর-সংগীত কি রোমান্টিক! এই রোমান্টিকতা কাটার জন্য কড়া ছ্যাঁকা খাওয়াই নিয়ম। কপাল ফাটা থাকলে আম ও ছালা দুটো লুটপাট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

মানে ক্ষমতা ও দুধের মাছি দুটোই হাওয়া হয়ে যায়। ক্ষমতার সঙ্গে দুধের মাছিদের এই অপূর্ব সম্পর্কের পরিণতি সুখকর না হলেও দুঃখকর কিছু নেই। কারণ হতভাগা লাখো-কোটি মানুষের আবেদন-নিবেদন যখন কানের মাছিও নড়াতে না পারে তখন দুধের মাছিদের নিয়ে ক্ষমতার স্বাদে হাবুডুবু খাওয়ার চিত্রটাও সুখকর না দুঃখকর সেটা নিয়ে প্যাচাল পারা যেতে পারে। সেই প্যাচালে কে যেতে চায়? কেউ না। ক্ষমতার আশপাশে এত বেশি দুধের মাছিদের ভিড় থাকে যে, অন্য কেউ ভিড় করারও সুযোগ পায় না।

এ বিষয়ে অতীব সস্তা একটা জোঁক আছে।

একটা কোম্পানি তাদের কারখানা অগি্নবীমা করাবে বলে ঠিক করল। পরদিন কোম্পানির ম্যানেজারের ঘরে বারবার বীমা দালালরা দেখা করার জন্য আসতে লাগল। কোম্পানির ম্যানেজার ব্যস্ত ছিলেন, তাই তিনি আটজন দালালকে বললেন, আমার সময় নেই পরে দেখা হবে। এরপর আরেকজন এসে ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন।

ম্যানেজার কড়া করে বললেন, আপনাকে নিয়ে এই নয়জন হলো। এর আগে আটজনকে না দেখেই বিদায় করে দিয়েছি।

দালাল একগাল হেসে বলল, জি, আমি এই নিয়ে নবমবার এসেছি।

এই হলো অবস্থা। দুধের মাছিদের সঙ্গে মধুর সম্পর্কের সবটাই মধুমাখা এমনটা ভাবলে ভুল হবে।

এই সুযোগসন্ধানী লোকগুলো ঝোপ বুঝে কোপ মারায় দারুণ দক্ষ থাকে। এক কোপে ঝোপ-ঝাড় কেটে নিজের রাস্তা বের করে নিতে এদের পারদর্শিতার দিকে তাকালে নিজেকে ক্ষমতাশূন্য বোকার ডিপো ছাড়া তেমন মানানসই কোনো বিশেষণ দিয়ে তৃপ্তি পাবেন না। দুধের মাছিরা শুধু ঝোপ বুঝে কোপই মারে না, পল্টিও দিতে পারে। সেটা কিন্তু নিজ দায়িত্বে বুঝতে হবে। যদিও বুঝেও সতর্ক করার কালচারটা সুবিধার না এখনো।

এই পরিস্থিতি নিয়ে সবশেষে আরেকটা করুণ জোঁক।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে।

স্ত্রী : শোনো, তোমার বন্ধু যে মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছে ওই মেয়ে কিন্তু অতটা ভালো নয়।

স্বামী : এতে আমার সমস্যাটা কি?

স্ত্রী : আরে, জেনেশুনে তোমার বন্ধ ভুল করতে যাচ্ছে, তুমি তাকে নিষেধ করছ না কেন?

স্বামী : আমি কেন তাকে নিষেধ করব! আমি যখন বিয়ে করি, তখন তো সে আমাকে নিষেধ করেনি।

 

 




এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.