আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী ও তার ছবিয়াল প্রসঙ্গে

উল্টোচিন্তার কথকতা

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী এই নামটির সঙ্গে আমার পরিচয় ২০০১/২০০২ সালের দিকে। (সম্ভবত) একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত “একজন করিমন বেওয়া” নাটকের মাধ্যমে। তখনও তাকে তেমন জানি না। বিষয় বৈচিত্র্যে নাটকটি আমাকে চমকিত করেছিলো বলেই হয়তো (ফারুকী) নামটি আমার নিউরণে জমা ছিলো। এরপর যেদিন তার পরিচালিত “কবি” নাটকটি দেখলাম তখনই বুঝলাম নাটক-ভাবনার পুরোন ধ্যান-ধারণার দিন শেষ হয়ে এলো।

স্পষ্ট শুনতে পেলাম বাঙলা নাটকের বাঁক পরিবর্তনের সূচনা-সঙ্গীত। এরপরের ইতিহাস তো সবারই জানা। ছবিয়ালের ব্যানারে তিনি এবঙ তার ভাই বেরাদররা একে একে আমাদেরকে উপহার দিয়ে গেলেন অনেকগুলো নতুনধারার নাটক, চলচ্চিত্র, ভিডিও ফিকশন। আর আমরা দেখলাম স্ক্রিপ্ট ছাড়া অভিনয়ে সমাজ ও মানুষের ছোট ছোট অসঙ্গতিগুলো কি চমৎকারভাবে বাস্তবমুখী হয়ে উঠতে পারে। তাদের নির্মিত বিজ্ঞাপনচিত্রগুলি আমাদেরক মুগ্ধ করে দেয়।

আর “ছবিয়াল” “ভাই বেরাদর” এই নামগুলো আমাদের কাছে খুব সহজেই আন্তরিক হয়ে ওঠে। মজার ব্যাপার হলো ( যা বরাবরই হয়ে থাকে), প্রথমদিকে যারা এই ধারার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলো তারাই এক সময় তাদের নৌকোর মুখ ঘুরিয়ে ভেসে পড়লো এই ধারারই জলে। একটি প্রস্তাবনা ছবিয়ালের কেউ যদি আমার এই লেখাটি পড়ে থাকেন, তাহলে আপনাদের চিন্তাশীলতার উপর যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখেই একটি কথা বলতে চাই। আমার মনে হচ্ছে আপনাদের নাটকগুলো একটি নির্দিষ্ট বলয়ের মধ্যে আটকে আছে। একই স্বাদের পূনরাবৃত্তি।

তাকে হালনাগাদ করা উচিৎ নয় কি? আমরা আপনাদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের নাটক আশা করতেই পারি। হতে পারে তা হররধর্মী কিংবা শিশুতোষ কিংবা আরো আরো অন্যকিছু। যার শূন্যতা এবঙ অসংলগ্নতা আমরা প্রায়শই বোধকরি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।