এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
সতের বছর বয়সে একা সাগর পথে বিশ্ব পরিভ্রমণ করে রেকর্ড গড়ল এক ব্রিটিশ তরুণ। তার নাম মাইক পারহাম। বৃহস্পতিবার গ্রীনিচ মান সময় নয়টায় সে কর্নওয়ালের লিজার্ড পয়েন্টে তার এই ভ্রমণের ইতি টেনেছে।
টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে পারহাম জানায়, তার জীবনের এক স্বপ্ন সফল হল। নৌবাহিনার অফিসারের ছেলে মাইক পারহামের ছোট বেলা থেকেই ছিল সাগরের প্রতি গভীর আকর্ষণ ৷ সাগরকে জয় করার স্বপ্ন তার বহু বছরের।
মাত্র সাত বছর বয়স থেকেই সে সাগরে পাল তোলা নৌকা চালিয়েছে। আর তাই এই বিশ্ব রেকর্ডকে তার জীবনে প্রথম হিসাবে ধরে নিলে চলবেনা। এর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে সে একাই পাড়ি দিয়েছিল অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে। সেটাও ছিল এক বিশ্ব রেকর্ড।
২০০৮-এর ১৫ই নভেম্বর তারিখ দক্ষিণ ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথ থেকে যাত্রা শুরু করে এই সাহসী তরুণ।
গেল ৯ মাসে সে সাগরের বুক চিরে ৪০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। যাত্রাপথে সে পর্তুগাল, ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড পার হয়ে শেষ লক্ষ্য স্থলে এসে পৌছায়। যে-বোটে মাইক সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে তার নাম ‘টোটালিমানিডটকম'। ৫০ ফুট দীর্ঘ এই বোট।
এই বিশাল যাত্রাপথ তার জন্য খুব একটি সুখের ছিল না।
কোথাও তাকে বিরূপ প্রকৃতির হাতে পড়তে হয়। মুখোমুখি হতে হয় হারিকেন বা ভয়ঙ্কর ঝড়ের কবলে। যুদ্ধ করতে হয়েছে ১৫ ফুট উঁচু ধেয়ে আসা সাগরের ঢেউএর সঙ্গে। আবার কোথাও সাগরের শান্ত আবহাওয়া তাকে দ্রুত নিয়ে গিয়েছে লক্ষ্যের দিকে। কয়েকবার তাকে তার ছোট্ট বোটটি মেরামতও করতে হয়েছে।
তারপরও পারহাম তার লক্ষ্য থেকে একমূহূর্তের জন্যও পিছপা হয়নি। টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সে বলছে , মাঝে মাঝে আমার মনে হয়েছে এটি আমি কি করছি। কিন্তু আমার মনের মধ্যে কোন সন্দেহ ছিল না যে আমি পারবো না।
মাইক তার ৯মাস ১৩ দিনের এই সমুদ্রযাত্রায় রাতে মাত্র ২০ মিনিট ঘুমোতেন। আর এই সময় তার বোট চলতো স্বয়ংক্রিয় অটো পাইলটের মাধ্যমে, যা রাডার দিয়ে নিয়ন্ত্রিত৷ প্রতিদিন বরাদ্দ ছিল ৫০০০ ক্যালোরির খাবার।
নুডলস, ভাত বা টিন জাতীয় খাবার সবই ছিল সঙ্গে ৷
বোটে মাইক তার অবসর সময়কাটিয়েছেন আইপডে গান শুনে অথবা ডিভিডি দেখে। আর স্যাটেলাইট ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ তো ছিলোই।
লন্ডনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর চিফ এডিটর ক্রেইগ গ্লেনডাই পারহামের এই সাহসী সফর সম্পর্কে বলছেন, মাইক তার এই সফরের মধ্য দিয়ে নিখুঁত ভাবে প্রমাণ করে দিল যে সে সত্যিই পারে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে। মাইক আরো জানায়, জোর মানসিক ও শারীরিক শক্তি থাকলেই কারো পক্ষে এটি করা সম্ভব।
মাইক তার এই সফলতার জন্য তার পরিবার এবং যারা তাকে সহায়তা করেছে বা সাহস জুগিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।
মাইক যার রেকর্ড ভাঙল, ক্যালিফর্নিয়ার থাউজেন্ড ওকস-এর সেই তরুণ, জাক সান্ডারল্যান্ড, মাইকের চেয়ে মাত্র কয়েকমাস বড়। ১৩ মাসে একই ধরণের সমুদ্রযাত্রা করে সে বিশ্বরেকর্ড করে৷ মাইকের নতুন রেকর্ড ভাঙ্গার জন্য অপেক্ষায় আছে ডাচ তরুণী লাউরা ডেকার। তার বয়স ১৩ বছর। যাত্রার অনুমতি পাবার পর সে যদি সাগর পাড়ি দিতে রওনা হয় এবং সে-যাত্রা সাফল্যের সঙ্গে শেষ করতে পারে তাহলেই মাইকের রেকর্ড ভেঙে দেবে লাউরা।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।