আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাঁসির আসামির মৃত দেহ থেকে নেয়া হয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না

রোগীর শরীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দানের জন্য চীনা সরকার কাযর্কর ব্যবস্থা গ্রহণে উঠে পড়ে লাগলেও ফি বছর চীনে অসুস্থ মানুষের দেহে যে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে, তার দুই তৃতীয়াংশের উৎস ফাঁসি কার্যকর করা আসামিদের মৃতদেহ। ছবি আর এই কথার সত্যতা মিললো চীনা স্বাস্থ্য বিষয়ক সহকারি মন্ত্রী হুয়াং জিউফুর বক্তব্যে। তিনি জানালেন, সরকার দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করতে কারাগারে ফাঁসিতে হওয়া মৃতদেহগুলোর উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহের জন্য এটা কার্যকর উৎস নয়। সরকার এখন এই ব্যবস্থা থেকে পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।

চীনে প্রতি বছর আট হাজার লোককে ফাঁসি দেয়া হয়। চীনা পত্রিকা চায়না ডেইলির এক সংবাদে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ লাখ অসুস্থ মানুষের দেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি বছর এই চাহিদার মধ্য থেকে যোগান পাওয়া যাচ্ছে মাত্র এক শতাংশের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চীনা রেডক্রসের মাধ্যমে মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দানের একটি জাতীয় স্কিম চালু করেছে এই সপ্তাহেই। একই সঙ্গে এই স্কিমের অন্য লক্ষ্য হচ্ছে মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পাচার বন্ধ করা।

২০০৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ১৩০ জন সরকারি স্কিমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের জন্য রাজি হয়েছে। ইন্সটিটিউট অফ অগার্ন ট্রান্সপ্লান্টেশনের কর্ককর্তা চেন ঝংগুয়ার বরাত দিয়ে চায়না ডেইলি জানিয়েছে এই তথ্য। এ বিষয়ে সহকারি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্য হল জনস্বার্থে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে মানুষ সামাজিক প্রতিপত্তি বা সম্পদশালী নয়, সকলেই তাদের প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ন্যায্য ভাবে বরাদ্দ পেতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের বর্তমান ব্যবস্থা নিয়ে বেশ সমালোচনা থাকলেও তিনি বলেন, প্রতিস্থাপনের সুবিধা কেবল ধনীদেরই জন্য... তা হতে পারে না।

চীনা মন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানা গেলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ এবং প্রতিস্থাপনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক হাসপাতাল৷ তারা এই কাজ করে মোটা অংক হাতিয়ে নিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সেখানে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দাতারা রোগীর আত্মীয় স্বজনের মিথ্যা পরিচয়ে টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করছে। যদিও চীনে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ২০০৬ সালে আরোপ করা হয় এই নিষেধাজ্ঞা। তথ্যসূত্রঃ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।