কষ্ট আমার প্রকৃত বন্ধু
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রমজান এর আগের দিন রাতে পাশের বাসার আন্টি ডাকতে এলো। নামাজ পড়তে যাব কিনা।
শুনলাম আমাদের বিল্ডিং এর নিচতলায় মেয়েদের তারাবী নামাজ জামায়াত এ পড়ার ব্যবস্থা করা হ্ইছে। খতম তারাবী পড়ানো হবে। আমি সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরি করছি, ক্লান্ত ছিলাম তাই যাইনি।
পরদিন আন্টি আবার এলেন... প্রথম রোযা ছিল, তাও ক্লান্ত, গেলাম নাহ।
পরদিন আর ডাকতে এলেন নাহ।
গতকাল রাতে ওনার মেয়ে এলেন নামাজে যাব কিনা জিগ্গেস করতে। সে আবার আমার ফ্রেন্ড। তার সাথে ফ্রেন্ডশিপটা ঐ বাসা ভাড়া নেয়ার পর থেকে।
সে আর তার জামাই দুজনই ডাক্তার। সে এখনও ইন্টর্ণি করছে। ১/২ দিন পর পর আসে তার বাসায় আসে শশুর বাড়ী থেকে। শশুর বাড়ী কাছেই...
আমি আমার ছোট ভাই কে বললাম দরজা খুলে বলতে আমি ঘুম। আসলে সারাদিন অফিস করে, ইফতার এর পরে অনেক ক্লান্ত লাগে , তার উপর আবার খতাম তারাবী!!
তাই ভয় পাইছি
পরে সে চলে গেলো।
আমার ছোট ভাই বলল, যাও না.. নামাযে, ওখানে নামায শেষে ভাল ভাল খাবার দেয়। আমার ছোট ভাই আবার খাবার এর দিকে একটু ইন্টারেস্ট বেশি
আসলে গ্রাউন্ড ফ্লোরে যে বাসায় নামায এর ব্যবস্থা করা হইছে ঐ বাসার আন্টি নামায শেষে ইমাম দেরকে কিছু একটা খেতে দেয়। প্রথম দিন সবাইকে দিয়েছিল, আর আমার ছোট ভাই তাই দেখেছে হয়তো
আমি তখন চা খেলাম। এরপর গেলাম টিভি দেখতে।
টিভি দেখে দেখে ভাবলাম...সে আমাকে নামাযে ডাকতে এলো, আর আমি বসে বসে টিভি দেখছি, এটা কেমন কথা।
আর আজ তো তেমন ক্লান্ত ও লাগছে নাহ।
তারাহুরো করে টিভি অফ করে, অযু করে গেলাম জামায়াত এ নামায পড়তে।
আমি যেতে যেতে তারাবী ও ২ রাকাত শেষ
কি আর করা বাকিটা পড়লাম...
বেশ ভাল লাগল...জীবনে প্রথম জামায়াত এ নামায পড়ে।
অন্য রকম একটা ভাল লাগা।
ভাবছি মাঝে মাঝে পড়তে যাবো, টাইম পেলে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।