এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
গরু বা ঘোড়া নয় একবারে মানুষখেকো প্রাণী কুমিরের বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে। এবছরের মাঝামাঝি সময় এই কুমিরের চামড়া রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অর্জন করে বৈদেশিক মুদ্রা। যার পরিমাণ ২০১৫ সাল নাগাদ হবে ৫মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য গল্পটা খুবই অবাক করার মতো। যখন বাংলাদেশের একজন তরুণ তার সমস্ত বুদ্ধি এবং অর্থ দিয়ে একটি কুমিরের খামার করার চিন্তা করলো তখন, তাকে অনেকেই পাগল ভেবেছিল।
তাই এই প্রকল্পের অনুমতির জন্য সে সরকারের কাছে আবেদন করলে, তার আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পার হতে লেগেছে বেশ কিছু বছর।
তারপর বহু কাটখড় পুড়িয়ে ২০০৫ সালের শেষের দিকে মালয়েশিয়া থেকে ৭৫টি বয়স্ক কুমির নিয়ে মুশতাক আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় এই কুমির খামারের অগ্রযাত্রা শুরু করেন। নাম দেয়া হয় মোস্তাক আহমেদ রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড। এর মধ্যে ৭ টি কুমির কিছু দিনের মধ্যে মারাও যায়। বেঁচে থাকে ৬৯ টি কুমির৷ যার মধ্যে ১৩ টি পুরুষ ও ৫৪ টি মেয়ে কুমির।
ফার্মটি রাজধানী ঢাকা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকাতে। এখানে কুমিরের প্রথম বংশ বৃদ্ধি হয় ২০০৬ সালে। জন্ম নেয় ৩টি বাচ্চা। ২০০৭ সালে বাচ্চার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১ টি। আর বর্তমানে কাচ্চ-বাচ্চা মিলিয়ে মোট কুমিরের সংখ্যা চারশর কিছু বেশি।
ফার্মের মালিক মোস্তাক আহমেদ বলছেন, প্রথমে তাকে সবাই পাগল ভাবলেও তিনি জানতেন এটি একটি লাভজনক প্রকল্প। তাইতো তিনি পিছপা হননি।
তিনি একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, এবছরের শেষেই ফার্ম থেকে বাচ্চা কুমির এবং চামড়া বিদেশে রপ্তানি করা হবে। তিনি আরো বলেন ইউরোপের বেশ কিছু দেশ ইতোমধ্যেই এব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ব জুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তার কোন প্রভাবই এই কুমিরের চামড়া বা অন্যান্য আনুসঙ্গিক জিনিস রপ্তানির ক্ষেত্রে পড়বে না ৷ কারণ যারা এর ক্রেতা হবেন তারা বিপুল অর্থের মালিক।
এবং শখের বশেই এগুলো কিনে থাকেন।
উল্লেখ্য, কুমিরের চামড়া, দাঁত এবং হাড় থেকে খুব দামি চামড়ার কাপড় বা বেল্ট, দাঁত বা হাড় দিয়ে অলংকার এবং সুগন্ধী তৈরি করা হয়। বলা হয়ে থাকে কুমিরের মাংস বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর৷ তাই বিশ্বের অনেক দেশে এর চাহিদাও প্রচুর।
আহমেদ বলেন, বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড এবং মালয়শিয়াতে কুমিরের খামার থাকলেও বাংলাদেশ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে ৷ কারণ ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ আমদানি শুল্ক চুক্তি রয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।