২০ বছর আগে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার এক ম্যাচে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাবেক আম্পায়ার জন হোল্ডার। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। বিবিসি রেডিওকে হোল্ডার এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইপিএলে ফিক্সিং বিতর্কের ধারাবাহিকতায় জন হোল্ডারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কখনো ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন কি না। জবাবে বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ এই আম্পায়ার বলেন, ‘১৯৯৩ সালে শারজায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার এক ম্যাচে আমাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
ওরা বলেছিল, শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের ৮৫ রানের জুটি গড়তে সহায়তা করলে আমাকে নগদ ১০ হাজার পাউন্ড দেওয়া হবে। প্রস্তাবটা শুনে আমি বলেছিলাম, তোমরা ভুল ব্যক্তির কাছে এসেছ। ’
৬৮ বছর বয়সী হোল্ডার বলেন, ‘প্রস্তাব আসতেই পারে। তবে তাতে সাড়া দিলেই ক্যারিয়ার শেষ। ক্রিকেটাররা জানবে, ধারাভাষ্যকাররা জানবে।
নিজের ওপরই শ্রদ্ধা হারিয়ে যাবে। আমি সেদিন তা গ্রহণ করলে প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত হতাম। আমি তা করিনি। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। ’
আইপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে এখন ক্রিকেট দুনিয়া তোলপাড়।
স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ১৬ মে ভোরে রাজস্থান রয়্যালসের তিন ভারতীয় ক্রিকেটার—শ্রীশান্ত, চাভান ও অজিত চান্ডিলাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তবে ব্যাপারটা শুধু তিন ক্রিকেটার আর জুয়াড়িদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি।
আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার আসাদ রউফের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউডের অভিনেতা বিন্দু দারা সিং।
তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান গুরুনাথ মায়াপ্পনকে। এই মায়াপ্পন আবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনের জামাতা। ফিক্সিং বিতর্ক ডালপালা ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। শেষ পর্যন্ত তা কোথায় গিয়ে শেষ হয়, এটাই এখন দেখার অপেক্ষা। সূত্র: ডন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।