মাহমুদুল আমিন চৌধুরী বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদককে জানান, এই প্যানেলের চেয়ারম্যান হতে বিসিবি তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সম্মতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে হোটেল রেডিসনে আইসিসি ও বিসিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ৯ জনের বিরুদ্ধে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ফিক্সিং বা স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিট (আকসু)।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দুই-তিন দিনের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলেছিলেন।
মাহমুদুল আমিন চৌধুরী জানান, বিসিবি প্যানেলের প্রধান হওয়ার ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন গত ১১ অগাস্ট। প্যানেলের অন্য সদস্য কারা সে সম্পর্কে তিনি এখনও জানেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন জানান, গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়ায় বিসিবির ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে। শুনানি শেষে দোষীদের শাস্তি দেয়ার অধিকার থাকবে ট্রাইব্যুনালের হাতে।
নীতিমালার পঞ্চম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের চেয়ারম্যান হিসেবে একজন সাবেক বিচারপতি থাকবেন।
ট্রাইবুনালের মোট সদস্য সংখ্যা কতো হবে এবং কবে নাগাদ কাজ শুরু করবে তা জানতে চাইলে বিসিবি সভাপতি বলেন, “একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু করবে।
”
নয় জনের মধ্যে সাত জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিপিএলে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। আইসিসির আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ আজীবন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। ”
বাকি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফিক্সিংয়ের ষড়যন্ত্রের কথা জেনেও কর্তৃপক্ষকে জানায়নি তারা। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর আইসিসি ও বিসিবির সব ধরনের প্রতিযোগিতায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।
মঙ্গলবার সকালেই অভিযুক্তদের কাছে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে।
দোষ স্বীকার অথবা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার জন্য লড়বেন কিনা তা জানানোর জন্য ১৪ দিন সময় দেয়া হয়েছে অভিযুক্তদের। এর পরপরই কাজ শুরু করবে ডিসিপ্লিনারি প্যানেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।