বুদ্ধিবৃত্তিক ও আদর্শিক বিচ্যুতি শুধু যে শিবিবের মধ্যে -তা নয়। আরো উপরে। সম্প্রতি নির্বাচনি কমিশনের কাছে জামায়াতে ইসলামীকে রেজিস্ট্রী করার প্রয়োজনে দলটির গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের অঙ্গিকারটি আস্তাকুরে ফেলে দিয়েছে। কথা হলো,দল তো বাঁচে একটি আদর্শকে বাস্তবায়ীত করার লক্ষ্যে। মুসলমান রাজনৈতীক দল গড়ে আল্লাহর বিধানকে বিজয়ী করতে তথা শরিয়তের প্রতিষ্ঠা করতে।
ইসলামি দল তো এই একটি মাত্র কারণেই অন্যান্য সেক্যুলার দল থেকে ভিন্ন। সে অঙ্গিকার আস্তাকুরে ফেললে আর রাজনীতি এবং দলগড়ার প্রয়োজনটাই কি? এটি হিকমত না আত্মসমর্পণ? দলটির গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি আস্তাকুরে ছুড়ে না ফেলার কারণে জামায়াত যদি নিষিদ্ধও হতো বা নেতাদের জেলে যেতে হতো তবুও তো আল্লাহর আইনের উপর তাদের ঈমান বেঁচে যেত। মহান আল্লাহতায়ালা থেকে তখন পরকালে পুরস্কারও পেতেন। বাংলাদেশের ইসলামপ্রেমি মানুষের স্মৃতিতেও তাঁরা যুগ যুগ বেঁচে থাকতেন আল্লাহর শরিয়তি বিধানের প্রতি গভীর অঙ্গিকারের কারণে। এখন হয়তো তাদের দল বেঁচে যাবে, তারা নিজেরাও হয়তো বেঁচে যাবেন।
কিন্তু তারা যা করলেন তাতে আল্লাহর শরিয়তের প্রতি তাদের অঙ্গিকার তো বাঁচলো না। আদর্শ বিসর্জন দিয়ে দল বাঁচানোর চেষ্টা কি শুধু এমপি হওয়া ও মন্ত্রী হওয়ার স্বার্থে? মুসলমানের রাজনীতি তো পরকালমুখি,এমন রাজনীতিতে গুরুত্ব পায় মহান আল্লাহতায়ালার কাছে কোনটি প্রিয় সেটি। এর বিপরীতে যে দলীয় স্বার্থচেতনা সেটি তো নিরেট সেক্যুলারিজম। সেক্যুলারিজমে গুরুত্ব পায় জনগণের ভাবনা,সরকারের ভাবনা,দলীয় নেতাদের নিরাপত্তা ও সুখশান্তির ভাবনা। মিশরে ইখওয়ানূল মুসলীমূনকে বিগত ৬০ বছরের বেশী কাল নিষিদ্ধ রাখা হয়েছিল।
নেতাদের বছরের পর বছর জেলে নিদারুন নির্যাতন চালানো হয়েছে। যয়নব আল গাজালীর বই কি তার পড়েননি? গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দলটির প্রতিষ্ঠাতা হাসানূল বান্নাকে। শহীদ কুতুবদের ন্যায় প্রথমসারির নেতাদেরকে ফাঁসীতেও ঝুলতে হয়েছে। কিন্তু তাতে কি তাদের অঙ্গিকার ও আন্দোলনে ছেদ পড়েছে? সে কোরবানী ও ত্যাগের বিনিময়েই তো তারা পেয়েছে মহান আল্লাহর সাহায্য। বেড়েছে জনগণের মাঝে বিপুল গ্রহনযোগ্যতা।
ফলে এখন তারা বিজয়ী এবং ক্ষমতাসীন।
আন্দোলনের জন্য কি দল লাগে? লাগে উন্নত আদর্শ। লাগে সে আদর্শের পতাকাবাহি আপোষহীন নেতা। দল ছাড়াই আয়াতুল্লাহ খোমেনীর নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালি স্বৈরাচারি শাসক মহম্মদ রেজা শাহকে হঠিয়ে ইরানে ইসলামি বিপ্লব হয়ে গেল। দল ছাড়াই এ উপমহাদেশে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বড় বড় আন্দোলন হয়েছে।
ব্রিটিশের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম যে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেটি কংগ্রেস বা মুসলিম লীগের ন্যায় কোন রাজনৈতীক দলের নেতৃত্বে নয়। সেটি ছিল খেলাফত আন্দোলন। সে আন্দোলনের পিছনে কোন দল ও দলীয় ক্যাডার বাহিনী ছিল না। ছিল মাওলানা মহম্মদ আলী,মাওলানা শওকত আলীর ন্যায় নেতা ও তাদের প্যান-ইসলামিক আদর্শ। জামায়াত কি শুধু দল নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়? এবং সেটি কি যে কোন মূল্যে?
বুদ্ধিবৃত্তিক ও আদর্শিক বিচ্যুতি শুধু যে শিবিবের মধ্যে -তা নয়।
আরো উপরে। সম্প্রতি নির্বাচনি কমিশনের কাছে জামায়াতে ইসলামীকে রেজিস্ট্রী করার প্রয়োজনে দলটির গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের অঙ্গিকারটি আস্তাকুরে ফেলে দিয়েছে। কথা হলো,দল তো বাঁচে একটি আদর্শকে বাস্তবায়ীত করার লক্ষ্যে। মুসলমান রাজনৈতীক দল গড়ে আল্লাহর বিধানকে বিজয়ী করতে তথা শরিয়তের প্রতিষ্ঠা করতে। ইসলামি দল তো এই একটি মাত্র কারণেই অন্যান্য সেক্যুলার দল থেকে ভিন্ন।
সে অঙ্গিকার আস্তাকুরে ফেললে আর রাজনীতি এবং দলগড়ার প্রয়োজনটাই কি? এটি হিকমত না আত্মসমর্পণ? দলটির গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি আস্তাকুরে ছুড়ে না ফেলার কারণে জামায়াত যদি নিষিদ্ধও হতো বা নেতাদের জেলে যেতে হতো তবুও তো আল্লাহর আইনের উপর তাদের ঈমান বেঁচে যেত। মহান আল্লাহতায়ালা থেকে তখন পরকালে পুরস্কারও পেতেন। বাংলাদেশের ইসলামপ্রেমি মানুষের স্মৃতিতেও তাঁরা যুগ যুগ বেঁচে থাকতেন আল্লাহর শরিয়তি বিধানের প্রতি গভীর অঙ্গিকারের কারণে। এখন হয়তো তাদের দল বেঁচে যাবে, তারা নিজেরাও হয়তো বেঁচে যাবেন। কিন্তু তারা যা করলেন তাতে আল্লাহর শরিয়তের প্রতি তাদের অঙ্গিকার তো বাঁচলো না।
আদর্শ বিসর্জন দিয়ে দল বাঁচানোর চেষ্টা কি শুধু এমপি হওয়া ও মন্ত্রী হওয়ার স্বার্থে? মুসলমানের রাজনীতি তো পরকালমুখি,এমন রাজনীতিতে গুরুত্ব পায় মহান আল্লাহতায়ালার কাছে কোনটি প্রিয় সেটি। এর বিপরীতে যে দলীয় স্বার্থচেতনা সেটি তো নিরেট সেক্যুলারিজম। সেক্যুলারিজমে গুরুত্ব পায় জনগণের ভাবনা,সরকারের ভাবনা,দলীয় নেতাদের নিরাপত্তা ও সুখশান্তির ভাবনা। মিশরে ইখওয়ানূল মুসলীমূনকে বিগত ৬০ বছরের বেশী কাল নিষিদ্ধ রাখা হয়েছিল। নেতাদের বছরের পর বছর জেলে নিদারুন নির্যাতন চালানো হয়েছে।
যয়নব আল গাজালীর বই কি তার পড়েননি? গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দলটির প্রতিষ্ঠাতা হাসানূল বান্নাকে। শহীদ কুতুবদের ন্যায় প্রথমসারির নেতাদেরকে ফাঁসীতেও ঝুলতে হয়েছে। কিন্তু তাতে কি তাদের অঙ্গিকার ও আন্দোলনে ছেদ পড়েছে? সে কোরবানী ও ত্যাগের বিনিময়েই তো তারা পেয়েছে মহান আল্লাহর সাহায্য। বেড়েছে জনগণের মাঝে বিপুল গ্রহনযোগ্যতা। ফলে এখন তারা বিজয়ী এবং ক্ষমতাসীন।
আন্দোলনের জন্য কি দল লাগে? লাগে উন্নত আদর্শ। লাগে সে আদর্শের পতাকাবাহি আপোষহীন নেতা। দল ছাড়াই আয়াতুল্লাহ খোমেনীর নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালি স্বৈরাচারি শাসক মহম্মদ রেজা শাহকে হঠিয়ে ইরানে ইসলামি বিপ্লব হয়ে গেল। দল ছাড়াই এ উপমহাদেশে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বড় বড় আন্দোলন হয়েছে। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম যে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেটি কংগ্রেস বা মুসলিম লীগের ন্যায় কোন রাজনৈতীক দলের নেতৃত্বে নয়।
সেটি ছিল খেলাফত আন্দোলন। সে আন্দোলনের পিছনে কোন দল ও দলীয় ক্যাডার বাহিনী ছিল না। ছিল মাওলানা মহম্মদ আলী,মাওলানা শওকত আলীর ন্যায় নেতা ও তাদের প্যান-ইসলামিক আদর্শ। জামায়াত কি শুধু দল নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়? এবং সেটি কি যে কোন মূল্যে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।