কিশোর সব সময় বঞ্চিত হয়। তারা উথলে ওঠা প্রেমিক।
আমরা যখন কিশোর- বন্ধুরা সব বুকের মধ্যের ঢিভ ঢিভ কথা চেপে চেপে, টিপে টিপে আলোচনা করছি, তখন যারা বিষয়, সেই চকলেট মার্কা কিশোরীদের কানে কিন্তু কোনো কথাই যথাযথ পৌঁছায়নি। চোখের সামনে দিয়ে, আমাদের বাইপাস করে তুলনামূলক যুবকদের হাত ধরে কেটে পড়ল কিশোরীরা। আর আমরা কষ্ট-যন্ত্রণা-আগুনের সঙ্গে ফ্রেন্ডশীপ করে কিশোর থেকে বড় হতে হতে... কিশোর থেকে যুবক হতে হতে... যুবক থেকে রাহুর প্রভাবে রাক্ষস হতে হতে দেখলাম, এ যুগ রাক্ষসের নয়।
রাক্ষসের খাবার হিসেবে মানুষ অলওয়েজ মেজর মেন্যু আইটেম হলেও এ যুগে মানবাধিকার লঙ্ঘন একটি গুরুতর অপরাধ। এ যুগে রাক্ষস কি ক্ষুধায় মরবে? মন্বন্তর শেষ হবে কবে?
সে যখন হওয়ার হবে, এখন আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে যে, চিরকালই কিশোর হওয়ার অপরাধে কেউ একজন বঞ্চিত হয়। কারণ, প্রেম। আর্তিমার্তি ঝু ঝু বুকের মধ্যে দুপুরবেলায় ডাক মারে ঘুঘু, হু হুহু... কৈশোরক নিঃশ্বাসে ছড়িয়ে পড়ে চিৎকারের ছন্দ- ‘এই, আমি তো ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি, তোমাকেও আজ কষ্ট দেবার অধিকার চাই...’
আলটিমেটলি, এক রাইকিশোরী আমাকে কঠিন হুমকিধমকি দিচ্ছে। আর আমি তো একটা রাক্ষস- এ কথা বলার পরও কিশোরী যেভাবে চোখ পাকাচ্ছে, বোশেখি মেঘের দাপট দেখাচ্ছে, গতবারের চেয়েও হয়তো আরো বড় ঝড়ের সংকেত দিচ্ছে, বুঝতে পারছি- স্বেচ্ছায় যতদিন আমি এ কিশোরীর নখের খোঁচা খেতে থাকব, যতদিন এই ফলন্ত গাছের সঙ্গে প্রাণের উদ্ভব, বিকাশ ও তাৎপর্য... ইত্যাদি মাদকমুগ্ধ সেমিনার বন্ধ না করব- আই অ্যাম শিওর, আমার জন্যই কমপক্ষে একজন কিশোর কোথাও বঞ্চিত হচ্ছে, তার বুকের মধ্যে গরম পানির দানা ছলকে পড়ছে, খলবল করছে
কারণ, মাত্রাছাড়া লম্ফ-ঝম্ফ শেষে কিছুটা ক্লান্ত এবং পুনশ্চ ক্লান্ত হওয়ার নেশায় কিশোরী এখন ঘুমোচ্ছে, মরুভূমিতে, আমার বুকে
ফলে কিশোর হে, আহত কিশোর, মাইন্ড করো না।
ভিক্ষুক একদিন সম্রাট হয়ে গেলেও গোপনে ভিক্ষা যেমন ছাড়তে পারে না, আজকে আমি রাক্ষস হয়ে গেলেও, আমারও বুকের মধ্যে একটা নির্জন দুপুর আর একটি কিশোর লুকিয়ে আছে, ঘুঘু ডাকছে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।