কবিতা লিখি, প্রবন্ধ লিখি, গল্প লিখি, রম্যরচনা লিখি, মানে লেখার চেষ্টা করি আর কী!
(১)
পালতোলা হেমন্তের নীল বেয়ে আমি অবশেষ
রাতের পর রাত, পৃথিবীবিহিন
সে এক সন্দেহাতীত প্রবল প্রত্যাখান
আমার মনখারাপের এই সমস্ত অসম্পূর্ণ সমুদ্রদিনে
বন্দরে আছড়ে পড়ে কুয়াশাঘেরা জাহাজ
আমি পেয়ালার তলানিতে খুঁজে পাই শতাব্দীর মুখ।
(২)
যে লোকটা
দীর্ঘ ভ্রমণের পর খুঁটিয়ে দেখে জানালার দাগগুলো
তার দরকার নেই কোনো উদ্ধৃতিচিহ্নের।
(৩)
স্কুলের দিনগুলোতে
আইসক্রীমের কাঠিতে দাগ কাটে তেজস্ক্রিয় বৃষ্টি
ফলে সব নদীই ভরাট থাকে
আর ছোট নামগুলোর পিঠে ফুটে ওঠে আবেগী নখের দাগ।
(৪)
এমন কী একটা কর্পোরেট ঘোড়াও ভাঙ্গাচোরা হতে পারে। যদি...
১. তার কাছেপিঠে কোনো ঘোড়া না থাকে,
২. ঘুমন্ত মুখগুলোয় লেবুপাতার গন্ধ না থাকে,
৩. বাড়ির টেলিফোনে কোনো হাতল না থাকে,
এবং
৪. ডুমুরের ছালে টের পাওয়া যায় কাঁকড়ার শব।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।