যেমন কর্ম তেমন ফল।
আগামী বছরের শুরুতে ঢাকাবাসী হাতিরঝিলে পালতোলা নৌকায় বেড়াতে পারবেন। মনোরম লেকের এপাড় থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য থাকবে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে তৈরি ব্রীজ। মাত্র কয়েক মিনিটেই রামপুরা থেকে কারওয়ান বাজার বা কারওয়ান বাজার থেকে অল্প সময়ে পৌছে যাবেন গুলশান হয়ে বাড্ডা। কমে যাবে তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক ও মগবাজারের অসহনীয় যানজট।
সম্প্রতি সোনারগাঁও হোটেলের পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কনষ্ট্রাকশন ব্যাটেলিয়ানের ক্যাম্প অফিসে এমন আশার কথাই শোনালেন ‘বেগুনবাড়ী খালসহ হাতিরঝিল এলাকার সমন্বিত উন্নয়ন’ প্রকল্পের পরিচালক।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব ও সরকারের নির্দেশনায় হাতিরঝিল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এখানে সেনা সদস্যরা কাজ তদারক করছেন। নিযুক্ত সাব-কণ্ট্রাকটরদের সাথে নিজেরাও কাজ করছেন।
বিস্তারিত কথা হয় হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত সেনা কর্মকর্তা মেজর মোঃ খিজির খানের সাথে।
জানালেন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা সমস্যার কথা। বললেন, রামপুরা-মহানগরসহ প্রকল্প এলাকার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে অনেক সমস্যা। অনেকেই ক্ষতিপূরনের টাকা নেননি। মঞ্চ তৈরি করে জমি অধিগ্রহণবিরোধী আন্দোলন করেছেন। এ নিয়ে এখনও কিছু মামলার নিষ্পত্তি করতে পারেনি রাজউক।
নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। তবে রাজউকের নিজস্ব অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে নির্মান করা হচ্ছে ফ্লাট।
তার দেয়া তথ্য মতে প্রকল্প এলাকা ঘিরে ১১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির মূল কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। তবে লেক খননের কাজের মাত্র ৭০ শতাংশ হয়েছে। এ লেকে জমা হবে বৃষ্টির পানি।
পালতোলা নৌকা চলবে এ লেকে। তবে খননের মূল সমস্যা লেকের কর্দমাক্ত মাটি। এক্সকাভেটর দিয়েও কাটা যাচ্ছেনা। কাটা হলেও পাতলা হওয়ায় এ মাটি শুকিয়ে শক্ত না করে অন্যত্র সরানোও যায়না। সামনে বর্ষা।
কাজ বন্ধ রাখতে হবে। বললেন, দৃষ্টিনন্দন নকশায় ৪টি ব্রীজ ও ২টি ভায়াডাক্ট নির্মান করা হচ্ছে। এজন্য রড, সিমেন্ট ও পাথর কেনা হয়েছে। তবে এমন কিছু সমস্যা আছে যে গুলো প্রকল্প প্রণয়নের সময় ভাবা হয়নি। যেমন নির্মিত সড়কে বাতি স্থাপন ও সার্ভিস (সংযোগ) সড়ক নির্মান।
তবে তিনি আশাবাদী নির্ধারিত সময়ে জুুন ২০১১ তে প্রকল্পের কাজ শেষ হবার ব্যাপারে।
বহুল আলোচিত হাতিরঝিল প্রকল্প ২০০৭ সালের অক্টোবরে ১৪ শ’ ৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় একনেকের অনুমোদন লাভ করে। ৩ বছর মেয়াদের এ প্রকল্পটি ২০১০ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবার কথা থাকলেও ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ শ’ ৮০ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় প্রকল্প সংশোধন করে মেয়াদ ১ বছর বাড়ানো হয়। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের শেষে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।