বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
গ্রিস। অনন্য সভ্যতা হলেও শূন্য থেকে সৃস্টি হয়নি ...
পারস্য। গ্রিসকে করে রেখেছে ঋণী
গ্রিস ও পারস্যের রেষারেষির কথা আমরা জানি।
সে দ্বন্দে গ্রিসকেই বড় করে দেখানো হয়েছে। অথচ, পারস্য নানাভাবে প্রভাবিত করেছিল গ্রিসকে। এমন কী পারসিক শিল্পের প্রভাব আথেন্সের পার্থেনন ও এরিকথিয়ামের কারিয়াতিদসগুলোর ওপরও পড়েছিল। অবশ্য অন্যভাবে, অর্থাৎ, বিমূর্তভাবে। অ্যাক্রোপলিসের শিল্প কেবলমাত্র দৃশ্যমান রুপ নয়, বরং একটি আদর্শিক ধারণাও ছিল, যা পারস্যের শিল্পরীতি অনুকরণ।
“সম্রাটের অধীনে ঐক্যের” ধারণাটি ছিল পারসিক: এবং সেটি গ্রহন করেছিল গ্রিস । গ্রিক শিল্পীরা ওই আনুগত্যের ধারণাটি পার্থেননের দেওয়ালচিত্রে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল। অবশ্য যথার্থ চিত্রকল্পের মাধ্যমে গ্রিক রুচি অনুযায়ী প্রকাশ পেয়েছিল এবং শিল্পকর্ম হিসেবেও সেটি সার্থক হয়েছিল । কারিয়াতিদসগুলোর আদিরুপ ছিল ষাঁড় কিংবা ডানাঅলা বেড়াল। তবে সেসসব উপেক্ষা করে গ্রিক মনোবৃত্তটি নারীর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল।
গ্রিকরা স্পস্টতই পশুর তুলনায় নারীকেই আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে যথার্থ মনে করেছিল।
এই বিষয়গুলো প্রমাণ করে যে গ্রিসের শিল্পরীতিতে পারস্যের প্রভাব ছিল অনিবার্য। রাজনীতির ক্ষেত্রেও ওই একই কথা বলা যায়। গ্রিক ও পারসিকরা দীর্ঘকাল আইওনীয় নগররাষ্ট্রগুলি শাসন করেছিল। সাম্রাজ্য পরিচালনার অভিজ্ঞতা যেহেতু গ্রিকদের ছিল না, পারসিকদের ছিল, গ্রিকরা পারসিকদের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে বাধ্য ছিল।
গ্রিকরা পারসিকদের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে কর প্রদানের নীতিমালা প্রনয়ন করেছিল, একটি সুসংগঠিত নৌবাহিনী গড়ে তুলেছিল এবং করদ রাজ্যগুলি তত্ত্বাবধানের জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল।
এথেন্স নগরীরর অ্যাক্রোপলিসের ওপর গ্রিক দেবালয় পার্থেনন। এটির নির্মানসৌকর্যেও পড়েছিল পারসিক স্থাপত্যরীতির প্রভাব ...
আসলে তো এমনই হওয়ার কথা ছিল। কারণ, অন্যদের দ্বারা বিকশিত জ্ঞান প্রয়োগ করেই তো মানবসভ্যতা এগিয়ে চলেছে । অথচ, উনিশ শতকের ইউরোপীয় ঐতিহাসিকগন গ্রিক সংস্কৃতিতে পারস্যের অবদান সচেতনভাবে উপেক্ষা করেছেন।
তারা অলীক এক ‘গ্রিক দৈবে’ (Greek miracle) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, যা রীতিমতো হাস্যকর। প্রাচ্যের অর্ন্তনিহিত শক্তিকে বোঝার মতন প্রতিভা উনিশ শতকের- এমন কী বিংশ শতকের অধিকাংশ ইউরোপীয় ঐতিহাসিকগন দেখাতে পারেননি। আসলে ইউরোপীয় ইতিহাস চর্চার ঝোঁকটা বরাবরই ছিল এমনই; পক্ষপাতদুষ্ট। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক সংস্পর্শকে বরাবরই অগ্রাহ্য করা হয়েছিল। কিন্তু, আজ আমরা জানি, দুটি সাংস্কৃতির অনিবার্য প্রভাবকে অগ্রাহ্য করা যায় না।
এমন কী দ্বন্দকেও।
এই বিষটি নিয়েই নেদারল্যান্ডের বিখ্যাত গবেষক Janine Bakker: লিখেছেন Persian influence on Greece নামে একটি অসাধারন নিবন্ধ .বেশ কিছুকাল আগে একটি ভূমিকা লিখে লেখাটি অনুবাদ করেছিলাম।
ডাউনলোড লিঙ্ক
http://www.mediafire.com/?bnt21q3yi2r
Janine Bakker. ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। হল্যান্ডবাসী। সেখানেই থাকেন।
একটি স্কুলে পড়ান। অসাধারন নারী। প্রাচীন গ্রিসের ওপর প্রাচীন পারস্যের প্রভাবের সরুপটি করেছেন উন্মোচন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।