যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি
কফির কাপ থেকে রুগ্ন ধোঁয়া উঠছিল। ফুট দেড়েক দূরে আরো একটা ধোঁয়ার রেখা উঠে যাচ্ছিল ওপরে। লোকটা আনমনে তাকিয়েছিল উঠে যাওয়া ধোঁয়ার দিকে। কুন্ডলি পাকানো ধোঁয়া খুব ধীরে ধীরে প্রসস্থ হচ্ছিল। সার্সি গলে কায়ক্লেশে আসা ক্ষীণ বাতাস ধোঁয়ার অবয়ব বদলে দিচ্ছিল।
ফ্যাকাসে ধূসর রঙের ধোঁয়া অজগরের মত এঁকে-বেঁকে কখনো মানুষের আবার কখনো কিম্ভুত সব আকৃতি নিচ্ছিল। স্মৃতি হাতড়ে রিওয়াইন্ড করা চেনা মুখের আদলে দিব্বি মিলে যাচ্ছিল ধোঁয়ায় গড়া স্কেলিটন। একসময় কফির ধোঁয়া কমে এসেছিল। ডান হাতের সিগারেটের মুখে একটু বাঁকানো ছাই পড় পড়। নিজের ওজনটুকুও আর ধরে রাখতে চাইছিল না।
দূরে দেখার মত প্রসস্থ হয়েছিল লোকটার করোনা। ধোঁয়া ভেদ করে বহু দূরের কিছু একটা যেন দেখে নিতে চাইছিল। ছাইয়ের দন্ডটা আরো বড় হয়ে প্রায় যখন পড়েই যাবে তখন লোকটি খুব সর্ন্তপণে আ্যাশট্রে তাক করে ছাই ঝাড়ল! তারপর ভ্রু কুঁচকে লক্ষ্য করল আ্যাশট্রেতে নয়, সে ছাই ফেলেছে কফির কাপে! মুহূর্তে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত হড়বড় করে এক সাথে হাজারো কথা আর স্মৃতিরা হুটোপুটি করতে লাগল। সেখান থেকে বেছে একটি লাইনই বের করা যায়--বুকের ভেতর প্রচন্ড শক্তি সঞ্চয় করে নিজেকে প্রবোধ দিয়েছিল, অরুণিমা চলে গেলে ওর কিছুই যাবে-আসবে না! কিন্তু অরুণিমা জানল না কি ভয়ানক ক্ষতি করে গেছে লোকটার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।