আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কী দোষ করেছিল ৬ বছরের টুনি? আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এত নীচে নেমে গেল কেন?

তিন নরপশু মিলে ৬ বছরের শিশু জুলেখা খাতুন পলির ওপর বলাৎকার চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, হত্যা করার আগে তার শরীরের সব রক্ত বের করে নিয়েছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। প্রশ্ন হচ্ছে- এই দ্বিপদী জন্তুগুলো এত নীচে নেমে গেল কেন? আয়নার সামনে দাঁড়ালে কী কখনো মনে হয়, টুনিদের ওপর এই পাশবিকতার জন্য আমরাও কিছুটা হলেও দায়ী? প্রথমতঃ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এমন কোন শিক্ষা মানবরূপী এসব পশুকে দিতে পারেনি। দ্বিতীয়তঃ সম্মান এবং জীবন বাঁচানোর জন্য টুনি যখন প্রচণ্ড চিৎকারের মাধ্যমে তার কষ্টের জানান দিচ্ছিল, তখন আমরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যেতে পারিনি। সারাদেশের প্রতিটি জনপদে- প্রতিটি স্থানে পুলিশ পাহারা বসিয়ে এ ধরনের অপরাধের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব নয়। তাহলে এর প্রতিকার কী? এর উত্তর কি হতে পারে নৈতিক শিক্ষার অভাব? সদা সত্য কথা বলবো, কারো ক্ষতি করবো না, চুরি করবো না, ছোটদের স্নেহ করবো, বড়দের সম্মান করবো, বাজে কথা বলবো না, বাজে কাজ করবো না- ইত্যাদি নীতিকথা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যে এক সময় ছিল না তা নয়।

এখনো হয়তো আছে। কিন্তু এই নীতিবাক্যগুলো না মানলে তার জন্য শাস্তি কী হতে পারে? বা আদৌ কোন শাস্তি আছে কিনা- তা কি আমরা শেখাতে পেরেছি তরুণ সমাজকে। খুন করে পালিয়ে যেতে পারলে বা প্রমাণ না থাকলে দুনিয়ার পুলিশ বা বিচার ব্যবস্থা আমাকে শাস্তি দিতে পারবে না। এটি শতভাগ সঠিক। কিন্তু আমার মনে যদি এই ভয় থাকতো যে, অন্তর্যামী একজন আছেন যিনি আমাকে প্রতি মুহুর্তে দেখছেন এবং তিনিই মহাবিচারপতি।

কোন আইনজীবী বা সাক্ষীর প্রয়োজন তার হবে না। তার পাতানো সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি আমার প্রতিটি মুহুর্ত। ঘুটঘুটে অন্ধকারেও তাঁর সিসিটিভি ক্যামেরায় পাতানো আছে নাইট ভিশন ব্যবস্থা। সেই প্রতিপালকের ভয় যদি আমরা এই নরপশুদের মনে ঢুকিয়ে দিতে পারতাম, তবে কি বাঁচানো যেত ৬ বছরের টুনিকে? শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সে শিক্ষা যদি একটি শিশু আজ পায় তবে আগামীকাল তরুণ বয়সে তার পক্ষে কী আরেকটি টুনির ওপর এরকম পাশবিক অত্যাচার করা সম্ভব হবে? সবার ভাবনা জানার অপেক্ষায় রইলাম ধর্ষণের পর রক্ত সংগ্রহ, এরপর হত্যা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.