সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............
থাইল্যান্ডের ভিসা তথ্যঃ
বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান ভ্রমন পিয়াসী মানুষ থাইল্যান্ড ভ্রমনে যান। কেউ যান ব্যবসায়ীক কারনে, কেউবা চিকিতসার জন্য এবং অনেকেই যান নিছক ভ্রমনের জন্য। আগে আমরা চিকিতসার জন্য খুব বেশী যেতাম ভারতে। কিন্তু ইদানীং ভারত সরকার বাংলাদেশীদের উপড় নানারকম হয়রানীসুলভ আচরনে এবং ইন্ডিয়ান হাসপাতালগুলোর বানিজ্যিক মনোভাবের কারনে কিছুটা স্বচ্ছল ব্যক্তিরা সু-চিকিতসা পেতে থাইল্যান্ডমুখী হয়ে পরেছি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা-সহজে থাইল্যান্ড যেতে কি করে ভিসা পেতে পারি।
কিছু কাল আগেও বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে শুধু মাত্র পোর্ট ভিসার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে থাইল্যান্ডের ভিসা পেতেও কম ঝামেলা পোহাতে হয়না। তাই বাধ্যহয়ে অনেক সময় আমরা প্রতারক দালাদের খপ্পরে পরেথাকি। কাজেই থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে কিছু দিক নির্দেশনা আমি তুলে ধরছিঃ-
প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ- (১)পাসপোর্ট বৈধতা, ভ্রমনের কমপক্ষে ৬ মাস ৫ দিন মেয়াদ থাকতে হবে। (২) এক সেট পাসপোর্ট ফটোকপি, পৃষ্ঠা ১ থেকে ৫ এবং নবায়ন/ সংশোধন করা হলে নবায়ন পৃষ্ঠা এবং পুর্বে যদি থাইল্যান্ড ভ্রমন করা থাকে-তাহলে সেই ভ্রমনের ভিসার ফটোকপি।
(৩) থাই দুতাবাস থেকে সংগ্রীহিত ভিসা ফরম পুরণ করতে হবে-যেমন স্বাক্ষর আপনার পাস্পোর্টে করা আছে-তার সাথে মিল রেখে। (৪)সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। (৫) ভ্রমনের উদ্দেশ্যে আবেদনকারীর অনুরোধপত্র(ব্যবসায়ীক ভ্রমনকারীদের জন্য)(৬)চাকুরীরত হলে যথাযথ কর্তিপক্ষের কাছ থেকে ছুটিমঞ্জুর পত্র। ছাত্র হলে স্কুল/কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তিপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদনপত্র। (৭) প্রথমবার ভ্রমন করা ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি ইংরেজী অনুবাদ সহ নোটারী পাব্লিক করা।
(৮) সদ্য তোলা ৬ মাসের ব্যাঙ্ক বিবরণী প্রতিজন কমপক্ষে ৪০,০০০ টাকা এবং পরিবার প্রতি ৮০,০০০টাকা স্থিতি থাকতে হবে। (৯) টিকেটে বুকিং এর ফটো কপি। (১০) চিকিতসার জন্য যারা যাবেন তাদের জন্য থাইল্যান্ডের যে হাসপাতালে চিকিতসা করাবেন সেই হাসপাতালের এয়্যাপয়েন্ট লেটার/ বুকিং ফরম এবং স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শ পত্র।
ভিসা ফিঃ- ২০০০ টাকা প্রতিজন। ভি এফ এস সার্ভিস চার্জ প্রতি জন ৪০০ টাকা, ব্যাংক চার্জ ৪০ টাকা।
ট্রাঞ্জিট ভিসা ফি ১৬০০ টাকা, ভি এফ এস সার্ভিস চার্জ প্রতি জন ৪০০ টাকা, ব্যাংক চার্জ ৪০ টাকা।
ভিসা জমা দেবার সময়ঃ- সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ তা এবং দুপুর ২ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত।
ভিসার আবেদন জমা দেবার স্থানঃ- রোড#১৩৮, স্টার সেন্টার(২য় তলা)প্লট# ২/এ, ব্লক-এসই-সি, গুলশান-১, ঢাকা।
থাই দুতাবাসের ঠিকানাঃ- ১৮-২০ মাদানী রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২
ফোনঃ ৮৮১২৭৯৫-৬, ৮৮১৩২৬০-১, ফ্যাক্সঃ-৮৮৫৪২৮০/৮৮৫৩৯৯৮
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দুতাবাসের ঠিকানাঃ বাড়ি# ৭২৭, থংগলোর, সই-৫৫, সুলতুম্ভিট রোড, ব্যাংকক-১০১১০, থাইল্যান্ড। ফোনঃ- ৩৯২৯৩৭-৮, ফ্যাক্সঃ-৩৯১৮০৭০
থাইল্যান্ডের সংক্ষিপ্ত ভৌগোলিক পরিচিতিঃ-
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক।
থাইল্যান্ডের দক্ষিনে মালেশিয়া, পশ্চিম-উত্তরে মায়ানমার, উত্তর-পুর্ব দিকে লাউস এবং দক্ষিন-পশ্চিমে কম্বোডিয়া। থাইল্যান্ডের পুর্ব উপকুলে থাইল্যান্ড উপ সাগর, পশ্চিম উপকুলে আন্দামান সাগর। ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ১৫৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বিশাল দেশ থাইল্যান্ড। জনসংখ্যা- ৬৩,০৩৮,২৪৭ জন। জাতীয় ভাষা ইংরেজী।
এখানকার গড় তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। থাইল্যান্ডের উত্তর, উত্তর-পুর্ব এবং কেন্দ্রে তিনটি ঋতু। গ্রীষ্ম কাল-মার্চ থেকে মে), বর্ষা(জুন থেকে অক্টোবর) এবং শীতকাল(নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী)। এছাড়া দক্ষিন, দক্ষিন-পশ্চিম থাইল্যান্ডে দুটি ঋতু। বর্ষা(এপ্রিল থেকে নভেম্বর) এবং গ্রীষ্ম(ডিসেম্বর থেকে মার্চ)।
এই দুই এলাকায় শীত কাল নেই।
অঃটঃ ঢাকার যান জট নিয়ে লিখতে বসেছিলাম। যান জট প্রসংগ লিখতে গেলেই মনে চলে আসে একদা থাইল্যান্ডের যান জটের কথা। হঠাত মনে হলো থাই ভিসা প্রাপ্তির পদ্ধতিটা সবাইকে শেয়ার করে নেই-তারপর যান জটের কথা লিখব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।