দুই বিচারককে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে অবশেষে পিছু হটেছে সরকার।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল গফুর এবং গাজীপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহজাহানকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে অবসরে পাঠানো হয়। এ দুই জন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং মহাসচিব।
আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ আজ বলেছেন, ওই সিদ্ধান্ত বাতিল হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন- রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে দুই বিচারককে অবসর দিয়েছিলেন।
একইভাবে তিনি এখন তার ক্ষমতাবলে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ না করে দুই বিচারককে অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কিনা- এ প্রশ্নে পদ্ধতিগত ভুল ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাওয়া হলে "বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে" বলে আইনমন্ত্রী জানান।
শোনা যাচ্ছে- ওই দুই বিচারক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও আইন প্রতিমন্ত্রীসহ শনিবার এবং রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন যমুনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করার প্রস্ততি নিয়ে আজ তারা হাইকোর্টেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা রিট দায়ের করেননি বলে তাদের আইনজীবীরা জানান।
সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, -সরকারের যে কোনও সিদ্ধান্ত রিভিউ করার এখতিয়ার আছে। সেটার ভিত্তিতেই এটা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনপ্রশাসনে 'সদাচরণ এবং শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং মহাসচিবকে অবসর দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
।
গত ২৭ জুলাই আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে বিভক্ত করে 'লেজিসলেটিভ অ্যান্ড পার্লামেন্টারী অ্যাফেয়ার্স' এবং 'ল অ্যান্ড জাস্টিস অ্যাফেয়ার্স' করার প্রস্তাবিত খসড়ায় চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় অ্যাসোসিয়েশনকে সম্পৃক্ত না করার প্রতিবাদ জানাতে সংগঠনটির প্রায় দেড় শতাধিক সদস্য আইন মন্ত্রণালয়ে যান।
ওই সময় সেখানে পুলিশ গেলে হট্টগোল দেখা দেয়।
এর জের ধরেই দুই বিচারককে অবসরে পাঠানো হয়।
এখন প্রশ্ন হলো- সরকার কেনইবা নিয়ম না মেনে নিজেরাই এই দুই বিচারককে অপসারনের সিদ্ধান্ত নিলো??
আর কেনইবা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছে?
এটা কি সরকারের নতুন মন্ত্রীদের অনভিজ্ঞতা না অন্য কিছু????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।