_________________সেলাই গাছের কারখানা _______________________________________
সৈয়দ আফসার
বিবিধ সংলাপ
তোমার দু-চোখের ক্লান্তি দূর হলো কবে
চুপ করে বসে ছিলে সবুজ ঘাসে—
কি যেন খুঁজছিলে আনমনে; তাই জলে চোখ মুছে
ফেরারি রুমাল
জল গড়িয়ে পড়লে বাধা কই নিবিড় অন্ধকারে
বৃষ্টির মুখ দেখিনি কতদিন হল— সে সব ছবি
স্মরণে এলে কি চোখের জল গুনে রাখা যায় চোখের পাড়ে
নন্দিনী
নন্দিনী তুমি ফুটে আছো একা বেদনার্ত চোখে
দুঃখ পেলে বলো চোখ থেকে তুলে নেবো জল
বৃষ্টি নামার আগে মুঠো ভরে নেব বর্ষা-শ্রাবণ
নন্দিনী কড়াই হাতে নেই; কাঁচা মাংসের গন্ধ গায়ে
মেখে জিরিয়েছি বহুদিন; হয়ত রবে বহুকাল
তুমি বৃষ্টিফুল গেঁথেছো চুলে; উষ্ণতা নিতে জেগেছে নাকফুল
তুমি ঠিক করে বলো-কতটুকু ভালো আছো পতনের সুরে
অপেক্ষা কেবলি গা ছুঁয়ে নামছে গোপনে; নির্মম
ভাগ্যরেখার দ্বারে
লক্ষ্য
কে যেন চলে গেল বেলা শেষে
বৃষ্টির মতো হঠাৎ; ঘূর্ণিবাতাসে
আমাকে লক্ষ্য রাখছে ওই দু’টি চোখ আশ্বাসে
মোহবন্ধনে; তার পাশে
ফেরারি পর্ব ৩
আলোর ভেতর আলো জ্বলছে হরহামেশা কে না জানে
আমি জ্বলিনি কভু কারো আঘাতে;খাল-বিল-নদী-পুকুর পানে
রোদের পাশে পুড়ে কঙ্কাল হবে রোদ; স্বাভাবিকভাবে
রোদ ছুঁবে না কেউ একা; রোদের তৃষ্ণা ছায়া হয়ে যাবে
নীল আকাশ ভালোবাসো জানি— গোপন রাখো বৃষ্টিপাত হলে
রোদ আর খরা
আমি প্রতিদিন দেখি আলো ছাড়া পৃথিবী জ্বলে ওঠে ভোর বেলা
বিকেল হলে তুমি ফিরে এসো; পাখিরাও নীড়ে ফিরে আসে
ফিরিনি আমি আর আমার ধূসরতা
সহজ
তারপরও পেয়ে বসে কতরকম গূঢ়ে; কার জন্য কে পড়ে থাকে একা
নীরবে-গোপনে। যার জন্য ফেলে আসা যায় আরো কিছু সময়
সে কি তার কথা শুনে নেবে রোদের আলোয়; কার কাছে ধার নেব কষ্ট
অসুখ; এজীবন অগুছালো— তাই সবাই বিমূখ। নিঃশ্বাসে কষ্ট
বাড়েনি… সবকিছু মেনে নেই সহজভাবে; সহজেই
বৃষ্টি আবার ফিরবে বলে
অন্ধকার হলে ভয় জাগে মনে; হয়ত অনুভবে তাকে পাবে
দেহ ছুঁয়ে যাওয়া জড়তা উঁকি দেয় চারদিকে— বিস্তর ভাবে
তুমি শিখিয়েছো আত্নহননে কবে যাব; আর্দ্র হবো কবে—
জিহ্বা কি জানতো জল পানে তারও তৃষ্ণা চলে যাবে
যারা অন্ধকার চিনে নেয়; তারা কি দুঃখ-যন্ত্রণা খেয়ে নিলে
টের পাইনি বৃষ্টিপর্ব কবে শুরু হলো; কারা গোপনে চলে গেল
এবার তুমিই বলো বৃষ্টির জন্য কোন ঋতু বেছে নেবো—
কোন ঋতুতে বৃষ্টিপাত না হওয়া আমাদের জন্য ভালো
সংলাপ পর্ব
কখনো ইচ্ছে করে নয়; বেলা গুনে চলে যায়
তুমি ফিরলে না বলে— রাত্রি পুড়ে নদী হল কবে—
আমি তো দাঁড়িয়েছি গুহায়; দূরে রেখেছি ভয়
হয়ত ভাবছো বসে নির্জনতা; আড়ালে-আত্নায়
গোপন প্রলাপ কেউ জানবে না; শুনবে না নিজ ছায়ায়
প্রসারিত করো হাত দু’টি নিজস্ব ভঙ্গিমায়
অক্ষমতা
রোদের কাছে যদি ছায়া ঋণী হয়
বৃষ্টির কাছে তবে মেঘটাই কাল—
বাকিটুকু আড়াল
হাঁটতে গেলে কি যেন পড়ে থাকে পিছে
হাত লুকালো কই; তাকে দেখে বলো—
আনাচে-কানাচে
একদিন পুড়ে যাবো আমি— ফুরিয়ে যাবে
যতকিছু; যত পিছু টান
যোগফল
চিন্তা ছুঁয়ে দেখা যায় না— কি বিস্ময়!
ভাবতে গেলে ভাবনা কত রকম হয়
ভাবনাকে ওজনে নয়; ওজন বিহীন আঁকি
বাকিটুকু চিন্তা করে দেখি—
ভাবনা গণনা করে সহজে কিছু মিলে না
সহজে কোনোকিছু ধরা যায় না
তাই ভাবনা-চিন্তার যোগফল কখনো মিলে না
পরশ
সাবধানে চলো পথে কাদা ___________ ওই যে দেখছো কে-সে বাঁধা
__________মানুষ শিকল ভেঙে আসে শুধু মায়ার টানে
কাদায় খেলেছে শিশুদল ________________ জীবন ভাবে কত সরল
__________ভাবছে কি তারা কঠিন বাস্তবতা আছে জীবনে
সবাই কি পথ মেপে চলে ______________ একা নিজ দোলনায় দুলে __________যারা চলে গেছে ওই পথ ধরে দৃশ্যের নিকটে
লাবণ্য ছুঁয়েছি একা… ____________ প্রীতি ভয় শুধু দিবসের স্মৃতি
_______যদি দূরে চলে যাও দেখো আমি লেগে আছি ঠোঁটে
কাদা যদি মিশে যায় তবে _____________ নিঃশ্বাস নেবে তৃপ্তি ভেবে
_________স্বপ্ন আর বাস্তবতা ঘিরে রাখো ভিন্ন স্বাদ পাবে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।