_________________সেলাই গাছের কারখানা _______________________________________
সৈয়দ আফসার
স্বপ্নাকাঙ্ক্ষা
সবুজ পাতারা যৌবনে দূরে-দূরে থাকে
ঠিক তুমিও যেভাবে আড়াল করেছো মুখ
গোপনতা ঢেকে
দূরত্ব খুঁজে কি করবো এখন; তুমিই বলো—
দূরত্ব এঁকে কবেই তো গিলে ফেলেছি বুকের জ্বালা
তাই ভাবছি একা বসে ডালিম গাছে নয় ঝাউ গাছের তলে
ভাগ্য কি মানুষেই গড়ছে; মানুষ কি গড়ে নিতে পারে?
তুমিও ভাগ্য সন্ধ্যানে সব ছেড়ে চলে গেলে অবশেষে
গাছের মিলন হলে ঝরে পড়ে পাতা; নতুন পাতা জন্মে
আমাদের কাঙ্ক্ষা আজো রয়ে গেলো স্বপ্নে
ফেরারি পর্ব ১
গাছে-গাছে সবুজ পাতা চোখে পড়লো এত দিন পরে
ডালে-ডালে বসেনি কোনো পাখি— সব ঢাকা বরফে
কতদিন হলো শুনিনি তার গান রঙিন স্বপ্ন নিয়ে শিষ দেয়নি
বউ কথা কউ; কোকিল-শ্যামা আর দোয়েল
অন্ধকার রাতে একাকী হাঁটি; মনে হয় সব যেন সুনসান
কোথাও শুনিনি শিয়াল-শকুনের ডাক, কোণোব্যাঙের মাখামাখি—
ঝিঁঝিঁ পোকার গান আজো খুঁজে ফিরি কোথাও শুনিনি
সারাক্ষণ লুকিয়ে রাখি ভয়, কেউ জানে না কেনো, কি কারণ
তুমি তো জানো কার জন্য বেছে নিয়েছি এই ফেরারি জীবন
টবে সাজানো লাল-শাদা-বেগুনি গোলাপ চেরিফুলে—
ফুলে কোন গন্ধ নেই নন্দিনী; তার উৎস খুঁজবো কি মূলে
ডানা হলে উড়ে যেতাম কবেই প্রিয়বাংলায়; সবকিছু ফেলে
আঁচ
কত কাঙ্ক্ষা লটকানো থাকে; কত স্বপ্ন ঝুলে আছে একা
শূন্যে
কত যুক্তি-তর্ক শ্রুতিমধুর হয়, কত নির্জনতা এক হয়ে
মিশে পড়ে গাত্রদাহে— কিংবা লেকের পাড়ে
মনের উপর কি জোর করা ভালো-তুমিই বলো
দেহ শুধু নড়ে-চড়ে ওঠে নিশুতিরাতে… তুমি একা—
একাকী হলে আমাকে উলটে দিও পাশবালিশের কোলে
জানো নিয়ন ভাবনায় দেহ টানাপোড়েন আঁকে
স্পর্শবিহীন আঁচে
নির্বেদ
রাত্রি খুঁড়ে নিলে পেয়ে যাবো নির্বেদ; ফলাফল হলুদ শস্যদানা
তুমি অপেক্ষায় থেকো জানালার ফাঁকে বুঝবে কেন তন্দ্রাহত চাঁদের গায়ে
স্বপ্নবিদ্ধ চোখ দু’টির অনুতাপে পুড়ে অস্পর্শ অভিমান নিয়ে
রাত্রি না খুঁড়ে দিলে পিছু নেবে অন্ধকার; অগোচরে ফুটে যাবে চন্দ্রিমাফুল
রাত্রি ফুরিয়ে গেলে তুই, তুই হ’বি একা আমার কলঙ্কফুল— তাও না?
ফিরবো না বলে তো এসেছি একা; স্বপ্ন বিক্রি করছি বহুমূল্যে শুধু বিক্রি
করিনি এখনো বুকে আটকানো অসংখ্য বেদনা—
তুমি তো স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছো সারাক্ষণ; ছায়ার মতন
কখনো বুঝতে শেখনি কে কার ভেতর জমা রেখেছে পরিপাটি করে
ক্রোধসহ
অসংখ্য ঘৃণা
ভোর হলে নির্বোধের মতো তোকে নিয়ে ভাবি-রাত্রিঘোর কাটে না
দুপুর গড়িয়ে রোদ নামেনি তাই তুই ছিঁড়ে নিলে বৃষ্টিসহ আরো কিছু জল—
ফোটানো যন্ত্রণা
রোদ ছুটুক তার মতো করে কিচ্ছু বলবো না…
পথভোলা পথিকের ডানায় ভোরের পালক
যাত্রাভিমুখে পথভোলা মুখগুলো স্ফীত হয়ে গেলো
তুই দাঁড়িয়ে ছিলে নির্মোহ টানে জানালায়— গ্রিলের শিকে
ক্লান্ত ভাড়ে নুয়ে পরা চোখ দু’টি কবে যেন বেদনার্ত হলো
অভিমানি জ্যোৎস্নালো বিজুলির মতো চমকাচ্ছে চারদিকে
বেলা শেষে যারা ঘরে ফেরেনি তারা— তারা পথভোলা পথিক
তাদের ডানায় ঝরে গেছে কবে পাখি তাড়ানো ভোরের পালক
_____________________________দৈবের বশে, প্রবাসে থেকে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।