আমি কিছুই লিখব না।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানরত কানাডার এক নভোচারী রোববার বলেছেন, ১২ বছর আগে যখন তিনি মহাকাশ প্রদক্ষিণ করেছিলেন, তার চেয়ে এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীর বরফের চূড়া অনেকখানি গলে গেছে।
বব থিরস্ক বলেন, স্টেশনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে, বিশেষ করে পৃথিবীর রূপালি বাতাবরণের দিকে চোখ পড়ায় তিনি ঘাবড়ে যাচ্ছেন।
থিরস্ক মহাকাশ স্টেশনে ছয়মাস অবস্থানকালের দু'মাস ইতিমধ্যেই পার করেছেন।
মহাকাশ স্টেশন থেকে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "আমাদের বাঁচিয়ে রাখে যে বাতাবরণ তা খুবই পাতলা হয়ে গেছে।
" "বেশিরভাগ সময়েই জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আমি ভয় পেয়ে যাই। পৃথিবীর বুকে মানবজাতির সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ছাপও নজরে পরে। "
"এটা হয়তো আমার শুধুই ধারণা। কিন্তু মনে হচ্ছে পৃথিবীর হিমবাহ গলে যাচ্ছে। ১২ বছর আগের তুলনায় এখন আমি দেখছি, পাহাড় চূড়া ঢেকে রাখা বরফ আগের মতো নেই।
" থিরস্ক বলেন, "আমি এতে ব্যথিত না হয়ে পারছি না। "
থিরস্কের এই কষ্টের কথা শোনার জন্য মহাকাশ স্টেশনে এখন আছেন তার সঙ্গী ১২ নভোচারী, অন্তত মঙ্গলবার পর্যন্ত। ওই দিন নভো খেয়াযান এনডেভার তার ক্রুদের নিয়ে স্টেশন থেকে বিযুক্ত হয়ে পৃথিবীতে রওনা হবে।
এনডেভারের নভোচারীরা মহাকাশ স্টেশনে জাপানের তৈরি একটি প্ল্যাটফরম সংযুক্ত করেছেন, স্টেশনের সৌরশক্তি চালিত ব্যবস্থার জন্য নতুন ব্যাটারিও লাগিয়েছেন।
আরও ৭টি ফ্লাইট শেষ করে আগামী বছর অবসরে যাবে এনডেভার।
আর প্রায় এক দশকব্যাপী কাজ শেষে ১০০ বিলিয়ন ডলারের ১৬ জাতির প্রকল্প আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিরও নির্মাণ এখন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।