ছুটবেলায় চিত্রবাংলা নামের একটা পত্রিকার কথা খুব মনে পড়ে, প্রেত্যেক হপ্তা বাইরাইতো, প্রচ্ছদ জুইরা ভয়ানক ভয়ানক সব হেডলাইন নিয়া। কে কার বৌ লয়া ভাগছে, কোন জামাই শ্বাসুড়ির লগে অবৈধ সম্পর্ক করছে... কোন মক্ষীরানী কোথায় নতুন দোকান খুলছে... কে কারে জোর কইর্যা কি আকাম করছে... এই সব সুড়সুড়ি।
এ রকম থার্ডকেলাশ পত্রিকা সবযুগেই ছিলো, অখনও দুই চারখান থাকবার পারে। কথা ওইটা না। কথা হইলো এই পত্রিকাটা মাঝে মাঝেই খু্ব গুরু গম্ভীর স্টাইলে সিরিয়াস বিষয় নিয়া আলোচনা তুলতো... কম্বোডিয়ার খেমার রুজরা কেন এক নম্বর কম্যুনিষ্ট না, আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর উপস্থিতি কেন সোভিয়েত ইউনিয়নকে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণিত করে মার্কা আর্টিকেল প্রথম পাতায় ছাপাইতো।
বলা বাহুল্য খেমারদের নিয়া সেই আলোচনা গিয়া গোত্তা খাইতো কনসেনট্রেসন ক্যাম্পের কোন রগরগা যৌন অত্যাচারের বর্ণনায় আর আফগানিস্তানের বর্ণনা গিয়া শ্যাষ হইতো ব্যাভিচারের ফলে দোররা মারার কোন কোন কাল্পনিক ঘটনার মধ্য দিয়া...
দুইদিন ধইর্যা দেখতেছি আমাদের সামুতেও সিরাজ শিকদারের রাজনীতির মতো সিরিয়াস বিষয় নিয়া আলোচনা চলতেছে। তয় আমরার বাংলা ব্লগেরও হালার কপাল, সিরাজ সিকদার নিয়া আলোচনা শুরু হইলো ব্লগে তাও কিনা পিয়ালের মতো পুলার হাতে। সিরাজ শিকদার নিয়া পিয়ালের এই দুই পোষ্ট পইড়া না বুঝন যায় সিরাজ শিকদারের তত্ত্ব, আর ইতিহাস... না বুঝন যায় সর্বহারার রাজনীতি। শুধু বুঝন যায় ... সিরাজ তার অর্ধশিক্ষিত স্ত্রী হাসিনার মাঝে যা পাননি, তা পেলেন জাহানারার মাঝে। আমরার ব্লগের পুলাপান সেই পোষ্ট পড়তাছে আর সাধু সাধু রবে আহাজারি করতেছে... হায়রে বাংলা ব্লগ...
পিয়ালরে দোষ দিই না, যার হাইট যতদুর সে ততখান উঁচুর নাগাল পাইব, এটাই স্বাভাবিক।
্কিন্ত মিজাজটা বিলা হয়্যা যাইতাছে এটা চিন্তা কইর্যা , হালার বাংলাব্লগের ইতিহাসে সিরাজ সিকদার নিয়া আলোচনায় এই সব বালছাল ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসাবে ব্যাবহার হবে!!!
এই সব দিনে আমি হাসিবরে খুব মিস্করি... আজ হাসিব থাকলে পিয়ালরে ঠিকই বুঝায়া কয়্যা দিত—আবে মামু হটকে... সিরাজ শিকদাররে নিয়া আশ্রমের বাঘ মামার কুনো চাপ্টারই নাই... নাই কুনো হিডেন ক্যাম, নাই কুনো লিচিং এর কারবার।
পিয়ালের মতো এই সব ফাউল পুলাপানদের ঠাটায়া চটকানা মারার হ্যাডম একমাত্র হাসিবেরই আছিলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।