"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"
জমানাটা মোবাইলের বা ই-মেইলের না হলে পাতা পাতা চিঠি লিখা হতো, দশ বছর আগে হলে নিদেনপক্ষে আর্চিসের বা হলমার্কের কার্ডের লেনদেন হতো। আহা, সময়টা কি তখন ভালো ছিল? এই যে মেঘের চুল আঁচড়ে গাঢ় অন্ধকারের চিরুনি উঠছে নামছে, সেগুলো কেমন শব্দে শব্দে বাঁধা পড়তো! চিনে মাটির কাপে ধরে রাখা বিষণ্ণতাকে ছুঁতে সে একবার আসতো। এলোমেলো চুলে ঝুঁটি ঝাঁকিয়ে নির্ঘাত বলতো - এবার বিরহের দিন শেষ।
স্বপ্নেরা শেষ কানাগলিতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে.....জীবনানন্দ নিউরণে অণুরণন তুলে যায়, জমাট সরের মতো গহন মন খারাপ ক্রনিক ডিপ্রেশনের অশুভ হাতছানি দিতেই থাকে।
সত্য হয়ে উঠে শুধু ১৩৩৩ অথবা প্রেম, জীবনানন্দের শব্দগুচ্ছ -
জীবন হয়েছে এক প্রার্থনার গানের মতন
তুমি আছ ব'লে প্রেম,- গানের ছন্দের মতো মন
আলো আর অন্ধকারে দুলে ওঠে তুমি আছ ব'লে!
.................
একদিন-একরাত করেছি প্রেমের সাথে খেলা!
একরাত-একদিন করেছি মৃত্যুর অবহেলা।
একদিন-একরাত; তারপর প্রেম গেছে চ'লে,-
সবাই চলিয়া যায়,-সকলের যেতে হয় ব'লে
তাহারো ফুরালো রাত!- তাড়াতাড়ি পড়ে গেল বেলা
প্রেমেরও যে! একরাত আর একদিন সাঙ্গ হলে
পশ্চিমের মেঘে আলো একদিন হয়েছে সোনেলা!
আকাশে পুবের মেঘে রামধনু গিয়েছিল জ্ব'লে
একদিন;-রয় না কিছুই তবু,-সব শেষ হয়,-
সময়ের আগে তাই কেটে গেল প্রেমের সময়!
নিজের কাঁধে নিজে ভর দিয়ে চলতে ক্লান্তি আসে আজকাল। ইচ্ছে করে এভাবে বলি-
নক্ষত্রের তলে
ব'সে আছি,-সমুদ্রের জলে
দেহ ধুয়ে নিয়া
তুমি কি আসিবে কাছে প্রিয়া!
বলা হয় না কিছুই। প্রতিদিনের দৌড়ক্লান্ত মনন ভাষার টুঁটি চেপে ধরে। বাঁ হাতের চেটোতে চোখ মুছে আমরা আবার ঝুলিয়ে নেই মেকি হাসি.....জলের কি ক্ষমতা কেড়ে নেয় আমাদের কৃত্রিম সুখের বিক্রম??
অন্ধকার কথা কয়,-আকাশের তারা কথা কয়/তারপর,-সব গতি থেমে যায়, - মুছে যায় শক্তির বিস্ময়!
ভালোবাসা প্রেম তো এক শক্তিরই বহিঃপ্রকাশ।
সে যখন কথা বলে না তখন এভাবেই বিষণ্নতার আঁধার নেমে আসে। কেউ কেউ তাকে মন পেয়ালায় ধরে চুমুক দেয় আনমনে, আলতো ঠোঁট ছুঁইয়ে, আর ভাবে "মনটা কেন খারাপ লাগে?"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।