কাটপিস, এক অশ্লীল সুন্দর নাম।
অতঃপর আমি এই সিদ্ধান্তে উপনিত না হয়ে পারলাম না যে,জীবনটা কাটপিসময়।
সবর্ত্রই কাটপিসের ছড়াছড়ি।
আজ ব্লগে 'বাংলা সিনেমা' নামের একটি নিকের প্রোফাইল পিক দেখে তের কলা আর এক কলার খোসা পূর্ণ হলো।
আর খুব বেশি কোথাও বাকী রইলো না।
এদেশীয় ঐহিত্যময় সিনেমা চালানোর জন্য প্রথমত এই বিষয়ের প্রচলন। প্রথমে চুপেচাপে শেষ দিকে প্রায় প্রকাশ্যেই এই কাটপিস চলে আসছিল নায়িকার শরীর থেকে সিনেমার শরীরে।
মোটামুটি ক্যান্সার লেভেলের সমস্যা।
তো যেটা হয় ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে শুনে যেভাবে দেখেতে যায়,তেমনি বাংলা সিনেমামুখীও একই যাত্রা।
'ফায়ার' নামে একটি সিনেমায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাটপিস ব্যাবহারের মধ্যে দিয়ে সেটাকে প্রায় হালালের পথে নিয়ে যাওয়া চলছিল।
সেই স্রোতে, সেই সময় ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ফায়ার দেখতে গিয়েছিলামও।
চোখ পুড়িয়েছিলাম সে ফায়ারে। হায়, কি শিল্পিত অবস্থা!
সে কি ঢল মানুষের। আমাদের পেছনে,আশেপাশে থাকা দর্শক শ্রেনীর কমেন্ট ছিল আরো কাটপিসময়।
বলা যায়, চোখের সাথে কানও পুড়েয়েছিলাম।
বিস্ময়কর বিষয় তারা একেকজন একাধিকবার ফায়ারে চোখ পোড়ানো দর্শক। তারা সব জানে। কিছুক্ষণ পরপর তাদের কথা শোনা যায়, এই চুপ। দেখিস অহনই সিন...
জটিল অবস্থা।
সিনেমার কাটপিস কাহিনী বলে শেষ হবার মতো না।
জীবনে জুড়েও আছে অসংখ্য কাটপিস।
এখন পথে ঘাটে কাটপিসময় সে দৃশ্য খুব অচেনা নয় কারো।
কোনগুলো?
সেসব প্রশ্ন করে আশা করি করি কেউ লজ্জা দিবেন না।
এই কাটপিস ছাড়াও জীবনে গালাগালি,আচার আচরন সব মিলিয়ে কাটপিসের অভাব নেই।
আর সামজিক বা রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের রাজনৈতিক নেতারাতো জীবন্ত কাটপিসের সবচেয়ে বড় উদাহরন হিসেবেই উজ্জ্বল হয়ে আছেনই।
তার কথা, কাজ কাটপিস পর্যায়েরই অশালীন।
সব কিছুতেই এখন কাটপিস।
সব কিছুতেই।
এমন কী মানুষের নামেও কাটপিস ঢুকে গেছে।
আমাদের এক সহকর্মী ইকবাল,যাকে আমরা প্রায়ই অনুরোধ করি তার নামটা পাল্টাতে।
সব ভালো লাগলেও নামের সাথে কেউ কাটপিস নিয়ে ঘুরবে, এটা ভালো লাগেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।