আমি মানুষ হতে চাই। প্রস্তুতি নিতে পারি নাই তাই ভেবেছিলাম পরীক্ষা দিব না , এক বন্ধুর উৎসাহে সিদ্ধান্ত নিলাম পরীক্ষা দিব।
সকাল ৮.৪০ বাসস্ট্যান্ডে গেলাম , বাস পেলাম মিনিট দশেক পরে। তরঙ্গ বাসে বাদুরঝুলা অবস্থায় বারবার ঘড়ী দেখছিলাম । ৯.২০ এ তিতুমীর কলেজের সামনে নামলাম।
সিট প্ল্যানে চোখ বোলাতেই পেয়ে গেলাম- নীচ তলায় , সরাসরি পরীক্ষার রুমে প্রবেশ করে দেখি অনেকের হাতে হাতে কারেন্ট এফেয়ার্স নাচানাচি করছে ।
কিছুক্ষন পর প্রশ্ন হাতে দুইজন ম্যাডাম এলেন আর শুরু করলেন-মোবাইল/সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ,বইটই সব সামনে এনে জমা দেন...ব্লা ব্লা...। ।
উত্তরপত্রে দেখলাম প্রশ্নের সেট পূরণ করা আর যা পূরণ করতে হবে রোল,জেলা “পরীক্ষার্থীর নাম” নামে একটা ঘর।
ম্যাডামকে বললাম , নাম কি বাংলায় নাকি ইংরেজিতে লিখব?
খুবই অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন যা ইচ্ছা তাই লিখেন , বিসিএস ক্যাডার হবেন আর এইটা জানেন না??
এরই মাঝে একপাশ থেকে কানে আসল কে একজন বলছে
- আমাকে সেট-২ দেন আমি সেট-৩ নিবনা।
- উত্তরে মহিলা “যার যেটা পরবে সেটাই নিতে হবে কোন চেঞ্জ করা হবে না” খিচিয়ে বলতে বলতে অন্য পাশে চলে গেলেন।
ঐ ব্যাক্তি এক ম্যামকে কাছে ডাকলেন । ম্যাম রেগেমেগে ঐ ব্যাক্তির কাছে গেলেন - আপনার সমস্যা কি ? ঐ সেট না নিলে চলে যান ।
-(ফিসফিসিয়ে)আমি সি*** কলেজের **লীগের সভাপতি , এই নেন কথা বলেন। (ম্যামের হাতে মোবাইল দিল )
ম্যামের আগুণ গায়ে মনে হয় বরফ পড়ল।
মিনমিন করে “তুমি আগে বলবনা?” বলে সেট-২ দিয়ে দিলেন।
কিছুই বুঝলাম না। পরীক্ষা শুরু হল । পরীক্ষা দিতে দিতে হঠাৎ মনে হল দেখিতো বুবুর সোনার ছেলেটা কি করছে ।
ওমা দাদাতো দেখি প্রশ্ন দেখছেন এক পলক করে আর মিশিয়েই চলছেন মিশিয়েই চলছেন...।
পরীক্ষার মাঝামাঝি আরেকবার তাকিয়ে দেখলাম পরীক্ষা দেওয়া শেষ,বসে আছেন।
রোলটা মনে রেখেছি দেখিতো দাদায় প্রিলিতে টিকে কি না ...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।