আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বীরশ্রেষ্ঠ বনাম আত্মীয় করন।

চুশীলরা বাথরুমে যান .................... :-P

দিন বদলের হরেকরকম সুযোগের শুরুটা বিগত কেয়ারটেকার সরকারে সময় থেকে। বিগত কেয়ারটেকার সরকার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্টান,রাজনীতি,আমজনতার খাদ্যভাসের সংস্কারসহ হরেকরকম সংস্কার করে দেশকে বদলে দেওয়ার হিট মিশন সুপার ডুপার ফ্লপ করলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চারদিকে বদলায়নের যে মিশন এখন পর্যন্ত ননস্টপ গতিতে এগিয়ে চলেছে তা রীতিমত সুপার ডুপার হিট। চিত্রশিল্পীর তুলিতে বিশ্ববেহায়া উপাধী পাওয়া রোমান্টিক স্বেরাছারী রাষ্ট্রপতি(৮১-৯০) পরবর্তী গনতান্ত্রিক সরকারগুলোর সব রেকর্ড তছনছ করে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্টান থেকে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টান যেভাবে ডিজিটাল স্টাইলে বদলে দিচ্ছে ডিজিটাল সরকার তাতে আমজনতা রীতিমত উদ্ধেলিত(?) আনন্দিত(?) গর্বিত(?)। চাঁদাবাজি,লুটপাট,শিক্ষাঙ্গনে কামড়া-কামড়ি,টেন্ডারবাজি করে দিন বদল করেও তাদের স্বাদ মিটছে না। এবার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বদলে দিতে,মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অপমানের রাঙিয়ে দেওয়ার দিনবদলের নুতুন মিশনে নেমেছে।

ভারতীয় আর পশ্চিমা বিনোদন মিডিয়ার নগ্ন আগ্রাসনের বদৌলতে বাংলা ছবিতে যেমন কাটপিস ছাড়া ছবি হিট হয়না ঠিক তেমনি ভাবে ইতিহাসের ভেতর দলীয় নগ্ন মানসিকতার কাটপিস না ঢোকালেও শান্তি পায়না মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল আর এনালগ ফেরীওয়ালারা। মুক্তিযুদ্ধের মায়াকান্নায় চোখ ভাসিয়ে যারা সব সময় মুক্তিযোদ্ধের ফেরী করে বেড়ায় তারাই জাতির শ্রেষ্ট ২সন্তান বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান এবং বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিনকে চরম অপমান করেছে। সাগরিকাস্থ চট্রগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নামফলক থেকে বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিনের নাম মুছে দিয়ে দলীয় একজনের নাম বসিয়ে দিয়েছে। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে জাতির আরেক শ্রেষ্ট সন্তান বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমানের নাম মুছে দিয়ে ডিজিটাল নেত্রীর আত্মীয়ের নাম বসিয়ে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ফেরী করে বেড়ানো সরকারের এমন হীন মানসিকতার স্বীকার জাতির বীরশ্রেষ্ট সন্তানদের এমন অপমানের এই সময়ে বড়ই জানতে ইচ্ছা হচ্ছে কোথায় আজ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বেঁেচ সুশীল হওয়া সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতারা?যারা ৮মাস আগেও মানববন্ধন,দেশব্যাপি সভা,সম্মেলন,সেমিনার করে মুক্তিযোদ্ধের ফেরীওয়ালাদের দুই-তৃতীয়াংশ জনমত পেতে ভুমিকা রেখেছিল।

কোথায় সেসব সুশীল মিডিয়া যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অপ্রকাশিত চিঠি প্রকাশ করে নিজেদের সুশীলতার চমক দেখাতে ব্যস্ত। অন্যকোন রাজনৈতিক দল এমন করলে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তাদের চোখের জল দিয়ে সম্পাদকীয়,উপসম্পাদকীয়,কলাম ,ফিচার লিখে পত্রিকার পাতা ভরিয়ে দিত। কিন্তু তারা এখন বোবা,কানা। নামকাওয়াস্তে কিছু বলে তাদের সুশীলিত্ব টিকিয়ে রেখে দাদাদের বিরোধীতা কারীদের চরমপন্থী বানানোর প্রচারনা নেমেছে। সরকারের বদলানোর সাথে পাল্লা দিয়ে চু+শীলরা পাবলিকের মগজ ধোলাইয়ের মিশনে নেমেছে।

প্রিয় পাঠক,আসুন না তথাকথিত সুশীলদের সুশীলত্ব কে সম্মান জানিয়ে একই সুরে আওয়াজ তুলি ‘দিনবদলের নাম বদলের জোয়ারে ডিজিটাল দলের আত্মীয়দের পাশাপাশি দেশে যত তথাকথিত সুশীল আছে তাদের নামে দেশের সব রাস্তাঘাট,পুকুর,খাল,পাবলিক টয়লেট,পাবলিক গোসলাগার তথাকথিত সুশীলদের নামে রাখা হউক’ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.