বাংলাদেশ আমার দেশ
বাংলাদেশী নারীদের পণ্য করে ইন্টারনেটে গড়ে উঠেছে কয়েক হাজার ওয়েবসাইট। দিন দিন এ রকম ওয়েবসাইটের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আর এসব ওয়েবসাইটকে পুঁজি করে গড়ে উঠছে লাখ লাখ টাকার পর্ণো ব্যবসা। রাজধানীতে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। অনেক সময় টাকার বিনিময়ে তারা দেশী নারীদের দিয়ে পর্ণোগ্রাফি তৈরি করে বিক্রি করছে।
আবার অনেক নিরীহ তরুণী এদের ফাঁদে পড়ে সম্ভ্রম হারাচ্ছেন। আবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে। বর্তমানে ইন্টারনেট সার্চে গেলেই কয়েক হাজার বাংলাদেশী অশ্লীল ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে। এসব ওয়েবসাইটের কয়েকটি আছে ফ্রি, আর বেশির ভাগই পে-সাইট। এসব পে-সাইটে হোম পেজে বাংলাদেশী নারীদের আলোক চিত্র দেয়া থাকে।
পরে তাকে দেখতে হলে বা তার সাথে যোগাযোগ করতে হলে ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। প্রতিটি সাইটে কম বেশি তিন থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত চার্জ ধরা হয়। এসব ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কয়েক হাজার হিট (সাইটে প্রবেশ) করা হয়। বাংলাদেশী ওয়েব ডেভেলপাররা খুব সহজেই এসব ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এভাবে এরা লাখ লাখ টাকা আয় করলেও দেশের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া যায়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পর্ণো ব্যবসার ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানীয় হওয়াতে বর্তমানে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে শুরু করেছে। ভারতের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ দেশের এ ধরনের ব্যবসায়ীরা আরো সহজেই অগ্রসর হতে পারছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা মূলত এ কাজে আগ্রহী নারীদের জোগাড় করে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ইন্টারনেটে সরবরাহ করে থাকে। এ জন্য তারা মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকে। আবার এসব অসামাজিক সাইট থেকে ভিডিও ফুটেজ ডাউনলোড করে সিটি বা ডিভিডি আকারে তারা বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে।
এর পাশাপাশি এ সিন্ডিকেট শিক্ষিত তরুণীদের নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। অনেকে আবার এদের খপ্পরে পড়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হচ্ছেন।
নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একাধিক ছাত্রছাত্রী জানান, তাদের অনেক সহপাঠীর অশ্লীল ছবি বা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে অনেকে নিজেই নিজের বা ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর ভিডিও ফুটেজ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর ধীরে ধীরে এসব অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
বিগত কয়েক বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অনেকেরই বর্তমানে আর স্বাভাবিক জীবন নেই। অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানান, তার সহপাঠীর কিছু আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সহপাঠীর বয়ফ্রেন্ড এ ছবিগুলো ছড়িয়ে দেয়।
তার কাছে আরো ছবি থাকায় ওই মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে সে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। এভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। আবার অনেকে প্রতারণার মাধ্যমে ক্লাসফ্রেন্ড বা বান্ধবীদের ভিডিও করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা জোগাড় করছে। এভাবে ইন্টারনেটের প্রসারে বাংলাদেশী নারীদের আপত্তিকর ভিডিও আরো সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে এ অবস্থা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
বিশ্বে চীনসহ বহু দেশ তাদের দেশের কল্যাণের জন্য হাজার হাজার ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যন্ত এ রকম কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আর নজরদারির অভাবে এ ধরনের প্রতারণা ও দেশের সুনাম ক্ষুন্নকারী ব্যবসা প্রসার লাভ করছে।
http://www.love.bangalionline.com/
http://ourbangla.com/efriends/
http://bd.singlescrowd.com/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।