বিজ্ঞানী শিমুল আমি কোন কিছুই মনে করতে পারছিলামনা। যেখানটায় দাড়িয়ে আছি সেটাও আমার বড় অচেনা। উদ্ভ্রান্ত পাগলের মত আমি এদিক-ওদিক তাকাচ্ছি। আমি দাড়িয়ে আছি সুউচ্চ এক পর্বতের চূড়ায়। কিন্তু, আমি এখানে আসলাম কিভাবে? আমি আবার চারপাশে ভালোভাবে তাকালাম।
কোথাও কোন সভ্যতার অস্তিত্ব নেই। চারদিকে শুধু ধূধূ মরুভূমি। মনে হচ্ছে আমি সমগ্র মহাবিশ্বকে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু, কোনভাবেই আমার এখানে অবস্থান করার কারণটা বের করতে পারছিনা। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত হচ্ছে।
কিন্তু, ভাবনা-চিন্তার কোন কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছিনা।
হঠাৎ আমার চারপাশটা বেশ পরিচিত মনে হতে লাগলো। মনে হল কোন এক মহাকালে ঠিক এখানে আমি দাড়িয়ে ছিলাম। দাড়িয়ে থাকার কারণটাও আরও অদ্ভুত। আমি হলাম নূহ নবীর অবাধ্য পুত্র।
সমগ্র পৃথিবী যখন মহাপ্রলয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল তখন বাবা আমায় বারবার তার নৌকাতে উঠতে বলেছিলেন । কিন্তু আমি কোনভাবেই বাবার কথা বিশ্বাস করিনি। বাবার কথা অগ্রাহ্য করে আমি পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতে আহরণ করেছিলাম। পর্বতে আহরণের পর সমগ্র ভূমণ্ডলে মহাপ্লাবন শুরু হল। পানির বিশাল বিশাল ঢেউ পর্বতে আছড়ে পড়তে লাগলো।
পানির উচ্চতাও ক্রমান্বয়ে বাড়তে লাগলো। একসময় পানির উচ্চতা পর্বতের চূড়া পর্যন্ত হয়ে গেল। বিশাল এক ঢেউ পর্বতের চূড়ায় আঘাত করল। আমি মূর্ছিত হলাম। যখন জ্ঞান ফিরল তখন আমি নিজেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যুগের নরেন নামক এক ছেলের মাঝে খুঁজে পেলাম।
নিজেকে আমি এক পথভ্রষ্ট যুবক হিসেবে ভাবতে শুরু করলাম। তারপর একদিন আমি এই পর্বতে উঠে ঠিক এখানেই আত্মহত্যা করলাম।
আবার আমার জ্ঞান ফিরল। চারদিকে তখন মহাপ্রলয়ের তাণ্ডব শেষ হয়েছে। ঢেউয়ের আঘাতে আমার মৃত্যু হয়নি।
অনেক কষ্টে আমি পর্বত থেকে নেমে এলাম। লম্বা লম্বা পা ফেলে আমি নতুন এক সভ্যতার খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম।
কারণ, আমাকে আবার নরেন হয়ে পৃথিবীতে আসতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।